বরখাস্ত অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের তিন কেন্দ্রীয় নেতাকে রাজধানীর শাহবাগ থানায় নিয়ে মারধরের সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের কাছে মঙ্গলবার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে কমিটি।
প্রতিবেদনে আরেক এডিসি সানজিদা আফরিনের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপি যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার।
তিনি বলেন, ‘আমাদের যে প্রাপ্ত প্রতিবেদন সেটা আমাদের কমিশনার বরাবর দাখিল করব। তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কমিশনার যে ব্যবস্থা গ্রহণ করার সেটা তিনি করবেন। অথবা আমাদের আইজিপি যিনি আমাদের পুলিশ বাহিনীর অভিভাবক তার কাছে প্রেরণ করবেন।’
এদিকে পুলিশের করা ওই প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, স্ত্রী সানজিদা গিয়েছে জেনে ছাত্রলীগ নেতাদের নিয়ে হাসপাতালে যান মামুন। সেখানে গিয়ে দেখা হয় এডিসি হারুনের সঙ্গে। পরে হাতাহাতিতে জড়ায় দু’পক্ষ। একপর্যায়ে হারুন ও সানজিদা ঢুকে পড়েন হাসপাতালের ইটিটি রুমে। ঘটনার একপর্যায়ে শাহবাগ থানায় ধরে নিয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের মারধর করেন হারুন ও তার সহযোগীরা।
এ ছাড়া তদন্ত প্রতিবেদনে এডিসি হারুন ও এডিসি সানজিদা আফরিনসহ ৫ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈমকে শাহবাগ থানায় নির্যাতন করার অভিযোগ ওঠে ডিএমপির রমনা জোনের এডিসি হারুনের বিরুদ্ধে।
ওই দিন রাতে এডিসি হারুন আরেক নারী পুলিশ কর্মকর্তা এডিসি সানজিদা আফরিনের সঙ্গে বারডেম হাসপাতালে আড্ডা দিচ্ছিলেন। ওই সময় সানজিদার স্বামী রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হক মামুন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান। তার সঙ্গে এডিসি হারুনের কথাকাটাকাটি হয়। পরে এডিসি হারুন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতাদের শাহবাগ থানায় তুলে নিয়ে যান। সেখানে তাদের নির্যাতন করা হয়।
খুলনা গেজেট/কেডি