যশোরের নাভারণ-সাতক্ষীরা সড়কের শার্শা জামতলায় প্রাইভেটকার তল্লাশি চালিয়ে সাড়ে ৭ কোটি টাকা মূল্যের ৯ কেজি ৭৫৮ গ্রাম স্বর্ণের বারসহ দু’জনকে আটক করে ডিবি পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ অভিযান চলাকালে দুর্বৃত্তরা পুলিশকে লক্ষ্য করে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে স্বর্ণসহ আটককৃতদের ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালায়। তবে পুলিশি তৎপরতায় সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়।
এদিকে ককটেল হামলাকালে আত্মরক্ষায় পুলিশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়ে। এসময় পালাতে গিয়ে অজ্ঞাতনামা এক হামলাকারী মোটরসাইকেল থেকে পড়ে নিহত হয়। দুর্বৃত্তদের ছোড়া ককটেলের স্প্লিন্টারের আঘাতে আহত হন ডিবি পুলিশের দুই সদস্য। তাদেরকে স্থানীয় শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
পুলিশের হাতে আটক দু’জন হলেন রবিন (৩৫) ও আবুল কাশেম (৩৫)। তাদের বাড়ি কুমিল্লার হোমনা ও দাউদকান্দি উপজেলায়। বিভিন্ন সাইজের ৩০টি স্বর্ণের বার বহনকারী ওই দুই যুবক প্রাইভেটকারযোগে সাতক্ষীরার দিক থেকে যশোরের নাভারণের দিকে আসছিলেন।
যশোরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (নাভারণ সার্কেল) জুয়েল ইমরান জানান, যশোর ডিবি ও শার্শা থানা পুলিশের যৌথ টহল দল জামতলা ওরিয়েনটাল অয়েল কোম্পানির সামনে সাতক্ষীরার দিক থেকে আসা ওই সাদা প্রাইভেটকারটি (ঢাকা-মেট্রো-গ-২২-০৪২৪) থামিয়ে তল্লাশি চালায়। এসময় রবিনের শরীরে ও গাড়ির মধ্যে কৌশলে লুকিয়ে রাখা বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে এই স্বর্ণ আনা হচ্ছিল বলে আটককৃতরা জানায়।
এদিকে স্বর্ণ উদ্ধারকালে ২৫-৩০টি মোটরসাইকেলযোগে প্রায় ৫০-৬০ জনের দুর্বৃত্ত দল পুলিশের ওপর ৪-৫টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে যশোর ডিবির দুই কনস্টেবল আহত হন। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। পুলিশ হামলাকারীদের ফেলে যাওয়া ৩টি মোটরসাইকেলও জব্দ করেছে।
যশোর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রুপন কুমার সরকার জানান, স্বর্ণসহ আটক পাচারকারীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন। তাদেরকে শার্শা থানায় সোপর্দ করা হবে।