যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলায় ৩ হাজার খেজুর চারা রোপণের মধ্য দিয়ে ৩০ দিনে ৩০ লাখ খেজুর বীজ রোপণের উদ্বোধন করলেন, জেলা প্রশাসক মো. আবরাউল হাছান মজুমদার। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় যশোর জেলাজুড়ে বৃহৎ পরিসরে বৃক্ষরোপণ ও জেলার ঐতিহ্যবাহী খেজুরের রস ও গুড় শিল্পের টেকসই সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে চলতি বর্ষা মৌসুমে জেলায় ১ কোটি খেজুরের বীজ বপন ও ১৫ হাজার চারা রোপণের উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। তার অংশ হিসেবে শনিবার (৬ জুলাই) দুপুর ১২ টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে প্রেমবাগ ইউনিয়নের চাপাতলার ভৈরব নদীর তীরে ৪ একর জমির উপর এ খেজুর বীজ ও চারাগাছ বপনের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে এম আবু নওশাদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন যশোর জেলা প্রশাসক মো. আবরাউল হাছান মজুমদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরদার অলিয়ার রহমান, নওয়াপাড়া পৌরসভার মেয়র সুশান্ত কুমার দাস, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোরের উপপরিচালক সুশান্ত কুমার তরফদার, অভয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম আকিকুল ইসলাম, প্রেমবাগ ইউপি চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দিন।
আরও পড়ুন : ৩০ লাখ খেজুর বীজ রোপনের প্রস্তুতি অভয়নগর উপজেলা প্রশাসনের
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাহির দয়াল আমীন, সহকারী কমিশনার ভূমি মো. শামীম, হুসাইন, নওয়াপাড়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ রবিউল হাসান, নওয়াপাড়া প্রেসক্লাবে সভাপতি নজরুল ইসলাম মল্লিক, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান তারু, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাফিয়া খানম, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিকাশ রায় কপিল, তৈয়্যবুর রহমান, এ্যাড নাসির উদ্দীন, কৃষি কমকর্তা লাভলী খাতুন, মডেল কলেজের অধ্যক্ষ মহিদুল ইসলাম টোকন, পল্লীমঙ্গল আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ খাইরুল বাশার, পায়রা ইউনাইটেড কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম খান, সুন্দলী এসটিএন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল লতিপ, প্রেমবাগ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি বাবুল আক্তার, আওয়ামী লীগ নেতা রবিউল ইসলামসহ উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাংবাদিক সুনিল দাস। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথি বৃন্দ খেজুর গাছের বীজ রোপন করে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য, উপজেলার নদীর পাড়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও রাস্তার দুই পাসের খাস জমির মোট ২১ একর জমিতে বীজ রোপণ করা হবে। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, পর্যায়ক্রমে বাকি উপজেলাগুলোতেও খেজুর বীজ বপনের উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। খেজুর বীজ ও চারা বপনের জন্য উপজেলা পর্যায়ে উপযুক্ত স্থান নির্বাচনের কাজ চলমান রয়েছে। বরাবরের মতো সরকারি খাস জমিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হলেও এবার ব্যক্তিগত জমিতে তৈরি করা ঘেরের দুই পাশ, সরকারি স্কুল-কলেজের পাশাপাশি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও বীজ ও চারা বপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মাটি ক্ষয় রোধ এবং অবকাঠামোর স্থায়িত্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারি রাস্তা ও নদীর পাড় ও বেড়িবাঁধের দুই পাশে খেজুর বীজ ও চারা বপনের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। মূলত, উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কর্মসূচির বাস্তবায়ন করা হলেও দীর্ঘমেয়াদে গাছের পরিচর্যার লক্ষ্যে স্থানীয় জনগণ, জনপ্রতিনিধি এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও দপ্তরগুলোর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ছয়টিকে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।
খুলনা গেজেট/এএজে