যশোরের অভয়নগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় আরো একজন আহত হয়েছেন। আহতের নাম শরিফুল ইসলাম গাজী(৪০) তিনি উপজেলার বাশুয়াড়ী গ্রামের আকবর আলী গাজীর ছেলে। গত ২৯ মে উপজেলা নির্বাচনে আনারস প্রতীকের প্রাথী রবিন অধিকারী ব্যাচার পরাজয়ের পর তার কর্মী সমর্থকের ওপর হামলার ঘটনা অব্যাহত আছে। পুলিশ সহিংস ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটক করেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পরাজিত প্রার্থীর আনারস প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনে কাজ করা কর্মীদের উপর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে হামলার ঘটনা ঘটছে। গত ২৯ মে রাত ১০ টায় ধোপাদী নতুন বাজারে দুষ্কৃতকারীদের হাতে আনারসের পক্ষে কাজ করায় ধোপাদী গ্রামের উত্তম শীলের ছেলে নওয়াপাড়া কলেজের ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক প্রলব কুমার শীল ও একই এলাকার ছাত্রলীগকর্মী সুমন শীলকে দুষ্কৃতকারীরা হামলা করে মারাত্মক আহত করে।
অভয়নগর থানার এএসআই সিলন বলেন, ধোপাদী গ্রামের ঘটনায় সংবাদ পেয়ে সাথে সাথে অভিযান চালানো হয়েছে কিন্তু কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে অভিযান অব্যাহত আছে।
শনিবার( ১ জুন) সকাল ১১ টার সময় উপজেলার শুভরাড়া ইউনিয়নের বাশুয়াড়ী গ্রাম আনারস প্রতীকে পক্ষে কাজ করায় ওই গ্রমের হাজী আকবর আলী গাজীর ছেলে মোঃ শরিফুল ইসলাম গাজীকে সংঘবদ্ধ ভাবে দুষ্কৃতকারীরা বেধড়ক মারপিট করেছে। তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে রক্তত্ব যখম করে। তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধিন রয়েছেন।
পরাজিত আনারস প্রতীকের প্রার্থী রবিন অধিকারী ব্যাচা জানান, নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর প্রতিপক্ষ দলের লোকজন তার দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করছে। তারা উপজেলা বিভিন্ন গ্রামে বসবাসরত সংখ্যা লঘুদের ওপর বেশি হামলা করছে। এর মধ্যে রয়েছে ধোপাদী গ্রামের নাপিত সম্প্রদায়। এছাড়া নাউলি ধূলগ্রাম, পায়রা হাট এলাকার সংখ্যালঘুদের বাড়ি ঘরে ইটপাটকেল ছুড়া হয়েছে। রাস্তায় উঠলে তাদের ওপর হামলা করা হচ্ছে। ভয়ে সংখ্যালঘুরা বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে না। তিনি প্রতিপক্ষকে হামলা বন্ধ করতে আহবান করেন। তা না হলে বিষটি ইন্সু করে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানন।
অভয়নগর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে এ পর্যন্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হল বাশুয়াড়ী গ্রামের আঃ করিম শেখের ছেলে সুমন শেখ, ও টিটু শেখের ছেলে নাইম শেখ।
এ ঘটনায় অভয়নগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ এস এম আকিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘সহিংসতার ঘটনায় ২ জনকে আটক করে মামলা দায়ের হয়েছে।এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে’’।
খুলনা গেজেট/এএজে