অভয়নগরে এক গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় লাশ রেখে পালিয়েছে স্বামী। পরে ওই লাশটি উদ্ধার করেছে অভয়নগর থানা পুলিশ।
এলাকাবাসীরা ও পুলিশ জানায়, পরিবারের লোক থানায় যোগাযোগ করলে আনুমানিক ১৩ (অক্টোবর) ভোর রাত ৩টার দিকে অভয়নগর আড়াপাড়া গ্রাম থেকে গৃহবধু পিতি মন্ডলের (২৩) লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয় এবং ময়না তদন্তের জন্য যশোর মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পিতি মন্ডল উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নের ডহরমশিহাটি গ্রামের উত্তম মন্ডলের মেয়ে।
পিতি মন্ডল বর্তমানে অনার্স প্রথম বর্ষে বাংলা বিভাগে যশোর মহিলা কলেজে পড়াশুনা করতেন। স্বামী সৌমিত্র ধর সুন্দলী ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রামের অমর ধরের ছেলে। সৌমিত্র ধর পেশায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সৈনিক পদে কর্মরত আছেন।
পিতি মন্ডলের বাবা উত্তম মন্ডল জানান, মেয়ের স্বামীর বাড়ি থেকে খরব পায় আমাদের মেয়ে মারা গেছে। সাথে সাথে আমরা তার স্বামীর বাড়ি আড়পাড়াতে যায়। যেয়ে দেখি খাটের উপর মেয়ের মরদেহ পড়ে আছে। পরে থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
পিতির পরিবারের লোকের দাবী, পরিকল্পিত ভাবে মেয়েকে মেরে পালিয়েছে তার স্বামী। এমনকি তাকে হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থাও করেনি তার পরিবার।
পিতির দাদা হরিনাথ কুমার বলেন, ২বছর আগে পরিবারের অমতে সৌমিত্র ধরের হাত ধরে পিতি মন্ডল তাদের বাড়ি চলে যায়। সৌমিত্রের পরিবার নিজেদের দ্বায়িত্বে তাদের বিয়ের ব্যবস্থা করে। বিয়ের পর থেকেই সৌমিত্রের পরিবার তাকে মেনে নিতে পারতো না। প্রায় তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো। স্বামী ও তার পরিবার মিলে তাদের বোনকে মেরেছে। পরে তারা বাড়ি থেকে সবাই পালিয়েছে। এখন মিথ্যা নাটক সাজাচ্ছে। গলায় ফাঁশ দেওয়ার কথা বলে।
পিতির শাশুড়ি স্বপ্না মন্ডল বলেন, তাদের বৌমা নিজেই গলায় শাড়ি পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
অভয়নগর থানার অফির্সাস ইনর্চাজ এস এম আকিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ভোর রাত ৩ টার সময় লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য যশোর মর্গে পাঠানো হয়েছে। রির্পোট পেলে প্রকৃত কারণ জানা যাবে মৃত্যুর রহস্য।
খুলনা গেজেট/এএজে