গ্যাভির কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটি থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে মডার্নার ২৫ লাখ ডোজ টিকা দেশে আসবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। শুক্রবার (২৫ জুন) টিকা প্রসঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) থেকে পাঠানো চিঠির কথা উল্লেখ করে গণমাধ্যমকে তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে এ বিষয়ে আমার কাছে আজ চিঠি এসে পৌঁছেছে। তারা জানিয়েছে, মডার্নার ২৫ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন আগামী সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যে বাংলাদেশকে দেওয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, আগে তারা আমাদের কাছে এই টিকা নেব কি না জানতে চেয়েছিল। পরে আমাদের পক্ষ থেকে আগ্রহের ব্যাপারে জানিয়েছিলাম। আগামী সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্স থেকে এই ভ্যাকসিন পাবে বাংলাদেশ। প্রায় একই সময়ে চীন থেকেও ভ্যাকসিনের একটি বড় লট দেশে আসতে পারে। তবে কী পরিমাণ আসছে তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
এর আগে কোভিশিল্ড টিকা বাংলাদেশে দেওয়ার জন্য ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে বেক্সিমকোর মাধ্যমে চুক্তি করেছিল বাংলাদেশ সরকার। ৬ মাসের মধ্যে তিন কোটি টিকা আনার চুক্তি হয়েছিল। গত জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে ভারত থেকে দুই চালানে ৭০ লাখ ডোজ টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ। এছাড়া ভারত সরকার উপহার হিসেবে দিয়েছে ৩৩ লাখ ডোজ।
সবমিলিয়ে বাংলাদেশ হাতে পেয়েছে মোট এক কোটি ৩ লাখ ডোজ টিকা। এখন টিকা মজুত আছে আর মাত্র এক লাখ তিন হাজার ৪৭৫ ডোজ।
এদিকে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে অধিদফতরের মুখপাত্র ও জাতীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন বলেন, প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশে এখনো অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড টিকা প্রয়োগ চলছে। তবে টিকা সংকটের কারণে প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ আছে। খুবই অল্প পরিমাণ টিকা হাতে থাকায় দ্বিতীয় ডোজ প্রদানও বেশিরভাগ কেন্দ্রেই বন্ধ রাখা হয়েছে।
জানা গেছে, প্রথম ডোজ টিকা দেওয়ার পর দ্বিতীয় ডোজের প্রায় ১৫ লাখ টিকার ঘাটতি রয়েছে। অ্যাস্ট্রাজেনেকার এ টিকা বিভিন্ন দেশ থেকে আনার জোর চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। এর পাশাপাশি অন্য কোনো টিকায় দ্বিতীয় ডোজ পূর্ণ করার ব্যাপারেও ভাবছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।