নগরীর ডাকবাংলো মোড়ের বহু কাঙ্খিত ‘খুলনা ট্রেড সেন্টার’ ভবন নির্মাণ কার্যক্রমের সকল প্রস্তুতি প্রায় শেষ। শহরের প্রাণকেন্দ্রে ৯ তলা ভবনটি নির্মাণে প্রাথমিক ব্যয় নির্ধারণ হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা। যা মার্কেট নির্মাণের সেলামীর মাধ্যমে আদায় হবে।
মার্কেটটি নির্মাণে খুলনা জেলা পরিষদের নিজস্ব কোন অর্থ বা এডিপি’র অর্থ ব্যয় হবে না। প্রায় এক যুগেরও বেশি সময় ধরে মার্কেটটি নির্মাণের চেষ্টা করা হলেও নানা প্রতিক‚লতার কারণে সেটি বাস্তবায়ন হয়নি। সম্প্রতি মার্কেটটি নির্মাণের জন্য মন্ত্রণালয়ে অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। খুব দ্রুতই অনুমতি মিলবে বলে আশাবাদী কতৃপক্ষ।
খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ এবং নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার পর বাস্তবায়নের পথে ‘খুলনা ট্রেড সেন্টার’।
জানা যায়, ডাকবাংলো মোড়ের ওপর ৫০ দশমিক ৪০ শতক জমির ওপর মার্কেটটি নির্মাণ করা হবে। গত বছরের ১৩ মার্চ মার্কেটটির খসড়া প্লান ও প্রক্কলন প্রস্তুত করে সেটি জেলা পরিষদের সভায় অনুমোদিত হয়। মার্কেট নির্মাণের সম্ভাব্য ব্যয় নির্ধারণ হয়েছে ৪৯ কোটি ৯৬ লাখ ২৬ হাজার ৮১০ টাকা। ৯তলা বিশিষ্ট মার্কেটটির ১ম থেকে ৪র্থ তলায় দোকান সংস্থান রাখা হয়েছে ১৬৮টির। এছাড়া ৫ম থেকে ৯ম তলায় কমার্শিয়াল স্পেস রাখা হয়েছে। মাকের্টের নকশায় যানবাহন পার্কি ও ওয়াকিং করার জন্য নির্ধারিত স্থান রয়েছে। গত ৯ জুলাই মার্কেট নির্মাণের জন্য প্রশাসনিক অনুমতি চেয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস এম মাহাবুবুর রহমান বলেন, সেলামীর টাকায় মার্কেট নির্মাণ হবে। এডিপি বা পরিষদের নিজস্ব কোন অর্থ মার্কেট নির্মাণে ব্যয় হবে না। মার্কেট নির্মাণ হলে জেলা পরিষদের বার্ষিক আয় বৃদ্ধি হবে।
জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আছাদুজ্জামান জানান, শহরের প্রাণকেন্দ্রে মার্কেটটি নির্মাণ হলে ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রসার হবে। অর্থনৈতিক ভাবে স্বচ্ছলতা বাড়ার পাশাপাশি বেকারত্বও দূর হবে। মেয়র ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের আন্তরিক চেষ্টায় এটি বাস্তবায়নের পথে। খুব দ্রুতই মার্কেটটি নির্মাণের অনুমতি মিলবে।
খুলনা গেজেট / এনআইআর