জেলা পরিষদের মেয়াদ শেষ হলে পরবর্তী পরিষদ গঠন না হওয়া পর্যন্ত কোনো ব্যক্তি বা সরকারি কর্মকর্তাকে প্রশাসক নিয়োগ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন কেন অসাংবিধানিক ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
বুধবার বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মাদ বাকির উদ্দিন ভুঁইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
এর আগে ২৪ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদন দায়ের করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের ৫ নম্বর (সদর থানা) ওয়ার্ডের নির্বাচিত সদস্য ও বাংলাদেশ জেলা পরিষদ মেম্বার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. বাবুল মিয়া রিটটি দায়ের করেন।
রিটে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রসাশন সচিব, আইন সচিব, ও জেলা পরিষদ শাখার উপ-সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।
পরে আইনজীবী বাকির উদ্দিন ভুঁইয়া বলেন, সরকার গত ১৭ এপ্রিল জেলা পরিষদের ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়ে যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে, তা সংবিধানের ৭ ১১ ২৬ ২৭ ৩১ ৪০ ৫৯ এবং ৬০ এ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী। এ বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে আমরা রিট করেছি। শুনানি শেষে আদালত রুল জারি করেছেন।
গত ১৭ এপ্রিল সরকারের জারি করা গেজেটে উল্লেখ করা হয়, জেলা পরিষদ গঠিত না হওয়া পর্যন্ত সরকার কর্তৃক নিযুক্ত একজন প্রশাসক জেলা পরিষদের কার্যাবলী সম্পাদন করবেন। সরকার একজন উপযুক্ত ব্যক্তিকে বা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত কোনো কর্মকর্তাকে প্রশাসক নিয়োগ করতে পারবে। এবং সেই মেয়াদ একের অধিকবার বা ১৮০ দিনের বেশি হবে না।
প্রশাসক নিয়োগের আগ পর্যন্ত জেলা পরিষদ আইন-২০০০ এর ৭৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে প্রত্যেক জেলা পরিষদের প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতা পরিচালনার জন্য প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা/ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে দায়িত্ব অর্পণ করা সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এই প্রজ্ঞাপন চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হলো।