অজস্র ছাত্রছাত্রী, গুনমুগ্ধ ও মানুষের চোখের জল ও শ্রদ্ধায় শেষ বিদায় নিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক ইতিহাস ও ইসলামিক সংস্কৃতি প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড: ওসমান গণি। শনিবার পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম থানার কাটাডিহি গ্রামে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
উল্লেখ্য, কলকাতার পার্কসার্কাস এলাকার ২৯ ঝাউতলা রোডের বাড়িতে দীর্ঘ রোগভোগের পর শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৮। পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম থানার কাটাডিহি (স্হানীয়দের কাছে কাটাড়ি নামে পরিচিত) গ্রামে ১৯৩৫ সালের ১আগস্ট তিনি জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম মহম্মদ ইউনুস। একজন মেধাবী ছাত্র ছিলেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল তার উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রভূমি। আচার্য সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায়, ভাষাতত্ত্ববিদ ড: মহম্মদ শহীদুল্লাহ ও শ্রীকুমার সেনের প্রিয় ছাত্র কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন সত্তরের দশকে ইসলামী ইতিহাস বিভাগে।অল্পদিনের মধ্যেই তার পাণ্ডিত্য ও প্রজ্ঞা ছড়িয়ে পড়ে। রামকৃষ্ণ মিশন সহ দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্হানে তিনি আমন্ত্রণ পেতেন বক্তা হিসাবে।
মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ভারতের যোজনা কমিশনের সদস্য ,পশ্চিমবঙ্গ কলেজ সার্ভিস কমিশনের সদস্য, ওয়াকফ বোর্ডের সদস্য ও আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড সদস্য হিসাবে তিনি তার দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ছিলেন ধর্মপ্রাণ অথচ ধর্মনিরপেক্ষ। তিনি ছিলেন আরবি-পারসি-বাংলা ও ইংরেজিতে সুপণ্ডিত। অজস্র গ্রন্হ-প্রণেতা এই মানুষটির মৃত্যুতে দুই বাংলায় নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া। রেখে গেলেন এক কন্যা,পুত্র অধ্যাপক কাশশাফ গণি ও স্ত্রী শওকত আরা গণিকে।
খুলনা গেজেট/এনএম