খুলনা, বাংলাদেশ | ১৬ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৩০শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  এনবিআরের কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি প্রত্যাহার
  গেল ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩৮৩

অজান্তেই শরীরে ঢুকছে ডায়াবেটিস, লক্ষণগুলো দেখা দেয় ঘুমের মধ্যেই

লাইফ স্টাইল ডেস্ক

বর্তমানে বিশ্বজুড়ে টাইপ-টু ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে উদ্বেগজনক হারে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, অনিয়মিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, পর্যাপ্ত ঘুমের ঘাটতি এবং অতিরিক্ত মানসিক চাপ—এই চারটি বিষয় সরাসরি টাইপ-টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তবে অনেক সময় দিনের বেলা যেসব লক্ষণ প্রকাশ পায়, তার কিছু নিঃশব্দ বার্তা আমাদের ঘুমের মধ্যেও দেখা দিতে পারে।

টাইমস অব ইন্ডিয়ান প্রতিবেদনে চিকিৎসকদের মতে, ঘুমের মধ্যে দেখা দেয়া কিছু অস্বাভাবিক লক্ষণ টাইপ-টু ডায়াবেটিসের সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিতে পারে। সঠিক সময়ে এসব লক্ষণ চিনে না উঠলে তা পরবর্তীতে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পরিণত হতে পারে। ঘুমের মধ্যে যেসব লক্ষণ ডায়াবেটিসের পূর্বাভাস দেয়:

১. ঘুমিয়ে উঠেও ক্লান্তিভাব: পর্যাপ্ত ঘুমের পরও যদি শরীর চাঙ্গা না লাগে এবং দুর্বলতা অনুভব করেন, তাহলে তা শরীরে ইনসুলিন কার্যকারিতার ব্যাঘাতের লক্ষণ হতে পারে। ডায়াবেটিসে শরীর সঠিকভাবে গ্লুকোজ ব্যবহার করতে পারে না, ফলে ঘুমের পরও সতেজ অনুভব হয় না।

২. ঘুমের সময় অতিরিক্ত ঘাম: রাতে ঘুমানোর সময় অতিরিক্ত ঘাম হলে বা ঘামিয়ে ঘুম ভেঙে গেলে সেটি হাইপোগ্লাইসেমিয়ার (রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ কমে যাওয়া) লক্ষণ হতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে এই ধরনের ঘাম স্বাভাবিক ঘটনা নয় এবং অবহেলা করা উচিত নয়।

৩. ঘন ঘন প্রস্রাব পেয়ে ঘুম ভাঙা: রাতের বেলা বারবার প্রস্রাবের চাপ অনুভব করা টাইপ-টু ডায়াবেটিসের একটি প্রচলিত লক্ষণ। উচ্চমাত্রার রক্তশর্করা শরীরকে প্রস্রাবের মাধ্যমে অতিরিক্ত গ্লুকোজ বের করে দিতে বাধ্য করে, যার ফলে ঘুম বারবার ভেঙে যেতে পারে।

৪. ঘুমের মধ্যে তীব্র পিপাসা অনুভব: ঘন ঘন প্রস্রাবের ফলে শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়ে, যা ঘুমের মাঝেই তীব্র পিপাসা বা মুখ শুকিয়ে যাওয়ার অনুভূতি তৈরি করতে পারে।

৫. হাত-পায়ে ঝিমঝিম বা অসাড়তা: ডায়াবেটিসজনিত স্নায়ু ক্ষতির (ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি) কারণে রাতে ঘুমানোর সময় হাত-পায়ে ঝিমুনি, অস্বস্তি বা অসাড়ভাব অনুভূত হতে পারে।

এই ধরনের লক্ষণ বারবার দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। সময়মতো রোগ নির্ণয় ও নিয়ন্ত্রণ না করলে তা দীর্ঘমেয়াদে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।

সুস্থ জীবনধারা মেনে চলা—যেমন: নিয়মিত রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, পর্যাপ্ত ঘুম এবং প্রতিদিন কিছু সময় ব্যায়াম করার অভ্যাস—টাইপ-টু ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!