উপকূলসহ দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মোবাইল নেটওয়ার্ক (বিটিএস) অচল হয়ে গেছে, নেই ইন্টারনেটও। ফলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার জনসাধারণ। রোববার রাত থেকেই অনেকে ফোনে আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না।
সোমবারের ঝড়ে রাজধানীর বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছ। অচল হয়েছে পড়েছে মোবাইল ফোনের প্রায় অর্ধশতাধিক নেটওয়ার্ক সাইট।
সূত্র জানিয়েছে, রিমালে ৪৫ জেলার ৮ হাজার ৪১০টি মোবাইল টাওয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১০০ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের নেটওয়ার্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে তিন লাখ গ্রাহক ইন্টারনেট সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বলছে, মোবাইল নেটওয়ার্ক সাইট অচল হওয়ার মূল কারণ বিদ্যুৎ না থাকা। বিদ্যুৎ এলেই সাইটগুলো পর্যায়ক্রমে সচল হবে।
ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে উপকূলসহ দেশের ৪৫টি জেলার মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবা ব্যহত হয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকায় অধিকাংশ এলাকা নেটওয়ার্কের বাইরে রয়েছে। এজন্য রোববার রাত থেকেই অনেকে ফোনে আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না।
সোমবার নিয়ন্ত্রক সংস্থা টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়ে দেশের ৪৫ জেলায় মোবাইল অপারেটরদের প্রায় ৪৯ শতাংশ অর্থাৎ ২২ হাজার ২১৮টি সাইট অচল হয়ে পড়েছে। এছাড়াও সকাল ১০টা পর্যন্ত উপকূলীয় এলাকায় আইএসপি অপারেটরদের ৩২০টি পপ (পয়েন্ট অব প্রেজেন্স) এর মধ্যে ২২৫টি অকার্যকর ছিল। এতে তিন লাখের মতো গ্রাহক ইন্টারনেট সেবা বঞ্চিত হচ্ছে।
অপটিকাল ফাইবার সেবাদাতা এনটিটিএন অপারেটরদের হিসাব অনুযায়ী, ১৫ জেলার ১ হাজার ৯০৮টি পপ বিদ্যুত না থাকায় বন্ধ হয়েছে।
সূত্রমতে, সবচেয়ে বেশি অচল বিটিএস রয়েছে রাঙ্গামটি, মেহেরপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, মানিকগঞ্জ, বরিশাল,রাজবাড়ি, ঝালকাঠি, বরগুনা, নাটোর পিরোজপুর, পাবনা, খুলনার কিছুঅংশ, ইত্যাদি এলাকায়।
খুলনা গেজেট/কেডি