৬৫ বছরের বেশি বয়স্কদের মধ্যে অক্সফোর্ডের করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন কার্যকর নয় জার্মানির এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। জার্মান কর্তৃপক্ষের দাবি, ৬৫ বছরের বেশি বয়স্কদের মধ্যে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন কার্যকরি এর পক্ষে পর্যাপ্ত তথ্য নেই। তাই এই ভ্যাকসিন শুধুমাত্র ১৮ থেকে ৬৪ বছরের মধ্যেকার মানুষদেরই দেয়া উচিত। তবে এর জবাবে বরিস জনসন বলেন, জার্মানির এমন দাবিতে তিনি বিচলিত নন। তরুণ থেকে বৃদ্ধ সকলের মধ্যেই অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন দারুণভাবে করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলে তার প্রমাণ রয়েছে। বৃটেনের ওষুধ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা এমএইচআরএ’র দাবির প্রতি নিজের সমর্থন ব্যক্ত করে বরিস জনসন বলেন, আমি মনে করি, এমএইচআরএ এরইমধ্যে স্পষ্ট করেছে যে, অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন অত্যন্ত কার্যকরি ও নিরাপদ। এটির একটি ডোজেই করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে দারুণ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলে, যা দুই ডোজের পর আরো বৃদ্ধি পায়। তারা যে প্রমাণ আমাদের কাছে পাঠিয়েছে তাতে দেখা গেছে, সকল বয়সের মানুষের মধ্যেই এই ভ্যাকসিন দারুণভাবে কাজ করছে।
এর আগে জার্মানির ভ্যাকসিন এডভাইজরি কমিটি এক সুপারিশে জানিয়েছে, পর্যাপ্ত তথ্য না থাকায় অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন ৬৫ বছরের বেশি বয়স্কদের মধ্যে প্রদান উচিত হবে না। এর প্রতিবাদ জানায় পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড (পিএইচই)। এবার দেশটির প্রধানমন্ত্রীও জার্মানির ওই দাবি প্রত্যাখ্যান করলেন। পিএইচই’র শীর্ষ কর্মকর্তা ড. ম্যারি রামসে বলেন, ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় বয়স্কদের মধ্যে সামান্য কিছু করোনাভাইরাসে আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে। তবে সার্বিক তথ্য এই ভ্যাকসিনের কার্যকরিতাই নিশ্চিত করে। এছাড়া, এমএইচআরএ’র প্রধান নির্বাহী ড. জুন রাইন বলেন, সব প্রমাণাদি বিশ্লেষণ করে এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি যে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন ৬৫ বছরের বেশি বয়স্কদের কম সুরক্ষা দেয়। এই বয়সসীমার উপরের মানুষদের ভ্যাকসিন দেয়ার আরো তথ্য শীগগিরই আসছে। সেগুলো আমরা যথাযথভাবে আমাদের ওয়েবসাইটে আপলোড করে দেব।