খুলনা, বাংলাদেশ | ৩০ আশ্বিন, ১৪৩১ | ১৫ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ; পাশের হার ৭৭.৭৮
  খাগড়াছড়ির দীঘিনালাতে যুবকের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার
লোনা পানিতে কাজ করার কারণে

অকাল গর্ভপাত ও জরায়ু সমস্যাসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন উপকূলের নারীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সাতক্ষীরা উপকূলীয় এলাকার মাটি ও পানিতে বৃদ্ধি পেয়েছে লবণাক্ততা। এতে করে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছে ওই এলাকার মানুষ। লোনা পানিতে কাজ করার কারণে বিশেষ করে সুন্দরবন সংলগ্ন নদীতে মাছধরা ও বনজীবী নারীরা অকাল গর্ভপাত, জরায়ু সমস্যাসহ বিভিন্ন মেয়েলী রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝূঁকিতে পড়ছে উপকূলের নারীরা।

সূত্রমতে, লবণাক্ত পানির জন্য নারীদের অকাল গর্ভপাত ঘটছে। যে কারণে উপকূলীয় এলাকায় কমছে জন্মের হার। জাতীয়ভাবে দেশে জন্মের হার ১.৩৭ শতাংশ হলেও সাতক্ষীরার উপকূলীয় উপজেলা শ্যামনগরের জন্মের হার ০.৮৯ শতাংশ। এদিকে সাতক্ষীরা এবং উপজেলার ক্লিনিক গুলোতে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, কয়েকবছর ধরে জরায়ু অপারেশন বেড়েছে।

সাতক্ষীরার শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জ, গাবুরা, পদ্মপুকুর, বুড়িগোয়ালীনি, কৈখালি, রমজাননগরসহ উপকূলবর্তী ইউনিয়নগুলোর অধিকাংশ নারীরা সুন্দরবন সংলগ্ন নদ-নদী গুলোতে (সকাল ও বিকেল) দুই জোয়ারে ৭/৮ঘন্টা নদীতে নেমে রেণু পোনা (ছোট) মাছ ও কাঁকড়া আহরণ করেন। উপকূলীয় এলাকার বাঘ বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা নারীসহ সংসার চালাতে অধিকাংশ নারীদের কাজ করতে হয়। অধিক সময় লবণাক্তা পানিতে কাজ করার ফলে নারীদের জরায়ুসহ বিভিন্ন শারিরীক সমস্যা দেখা দিচ্ছে।

শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জের জেলে পাড়ার বাঘ বিধবা দিপালী রাণী বলেন, স্বামীকে বাঘে খেয়েছে ২৩ বছর আগে। এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলের আয়ে সংসার চলে না। আগে ক্ষেতে খামারে কাজ করতো। কিন্তু ২০০৯ সালের আইলার পর এলাকায় কাজের ক্ষেত্র কমে যায়। তাই বাধ্য হয়ে সুন্দরবন সংলগ্ন মালঞ্চ নদীতে রেণু পোনা (ছোট) মাছ ও কাকড়া আহরণ করেন। সকাল ও বিকেল দুই জোয়ারে ৭/৮ ঘন্টা নদীতে নেমে রেণু সংগ্রহের জন্য জাল টানেন। নদী থেকে আহরিত রেণু প্রতি পিস ৫০ পয়সা বিক্রি করে কোন রকম সংসার চলে। দীর্ঘ সময় নদীতে কাজ করার ফলে শরীরে ঘাঁ-পাচড়াসহ বিভিন্ন মেয়েলি সমস্যায় ভুগছেন তিনি।

গাবুরা ইউনিয়নের ডুমুরিয়া এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী বলেন, লবণ পানিতে অধিক সময় কাজ করলে বিভিন্ন শারিরীক সমস্যা হয়। অনেক নারীর জরায়ূসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিচ্ছে। জরায়ু কেটে ফেলতে হচ্ছে অনেকের। আতঙ্কে আছি কিন্তু করার কিছু নেই। কাজ না করলে খাবো কি? ঘন ঘন দূর্যোগের কারণে এলাকায় কাজের অভাব। সব কিছু জেনেও লবণ পানিতে নেমে রেণু পোনা ধরতে হচ্ছে। না হলে খাবো কী? আমার সাথে কাজ করে এই রকম বেশ কয়েকজন নারীর জরায়ু কেটে ফেলতে হয়েছে। আমার এক প্রতিবেশী ২৪ বছর বয়সে তার জরায়ু কেটে ফেলতে বাধ্য হয়েছে। জরায়ু কাটার ফলের অনেকের স্বামী তাদের ছেড়ে চলে যাচ্ছে। সমচেয়ে বড় কথা হচ্ছে জরায়ু কেটে ফেলার পরও সুস্থ্য হতে পারছে না। দিন দিন আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এছাড়া এইসব কারণে এই অঞ্চলে তালাকের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। নারীদের স্বাস্থ্য চিকিৎসার জন্য উপকূলীয় এলাকার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেওয়ার দাবি করছি।

গাবুরা ইউনিয়নের ডুমুরিয়া এলাকার ধাত্রী আসমা উল হুসনা বলেন, বাচ্চা ডেলিভারী করতে যেয়ে দেখছি শতকরা ৯৯ শতাংশ নারী জরায়ু সমস্যায় ভুগছেন। সাদা স্রাব ভাঙতে ভাঙতে ক্ষত হয়ে ঘা হয়ে যায়। বিয়ের আগে থেকেই সমস্যা হয়। প্রথম বাচ্চা ডেলিভারী করে যেয়েও দেখেছি সেই নারীরা জরায়ু সমস্যা। লবণাক্ত পানির কারণে মাসিক আগেই এই এলাকার মেয়েদের। এসব কারণে স্বামীরা সাংসারিক অশান্তি হয়। স্বামীর মন রক্ষা করতে পারছে না, সংসারে কাজ করতে পারছে না। সন্তান লালন পালনও করতে কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আর মাত্রাতিরিক্ত এসব লোনা পানির দৈনন্দিন ব্যবহারের ফলে জরায়ু সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন এসব এলাকার নারীরা। সেজন্য অল্প বয়সেই জরায়ু কেটে ফেলতে বাধ্য হচ্ছেন এই এলাকার অনেক নারীই। এই এলাকার নারীরা সংকোচবোধ করেন। স্বামীর সাথেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে চাননা। দিন দিন পানিতে লবণ বেড়েই চলেছে। শীতের সময় পানি মুখে দিলে মুখ জ্বালা করে। এখানে গোসলের পানিরও সমস্যা। যে কারণে দিন দিন নারীদেও স্বাস্থ্য ঝুকি বাড়ছে।

গাবুরা ইউনিয়নের ডুমুরিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার হেলেনা বিলকিস বলেন, এখানে ১০ বছর ধরে যাবত কর্মরত আছি। এই এলাকার অধিকাংশ মানুষ চর্মরোগ, ডায়রিয়া, আমাশয়সহ পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত। অধিকাংশ নারী জরায়ুসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। এই ইউনিয়নটির চারিদিকে নদী হওয়ার কারণে নদী পথে যেতে হয় সে কারণে উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত এই এলাকার নারীরা। আমাদের ভবনের অবস্থায় জরাজির্ণ। যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এই এলাকার চাহিদার তুলনায় খুবই কম ওষুধ সরবরাহ করা হয়ে থাকে। ওষুধের সরবরাহ বাড়াতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ও গাইনি বিশেষজ্ঞ ডাঃ আঞ্জুয়ারা বেগম বলেন, এই এলাকার বেশিরভাগ নারী চুলকানি, প্রসাবে জ্বালাপোড়া, গায়ে ব্যথা, বিভিন্ন মেয়েলি সমস্যা নিয়ে আমাদের কাছে আসেন। লবণ পানির কারণেই যে নারীদের গর্ভপাত হচ্ছে-এটি গবেষণা ছাড়া বলা সম্ভব না। তবে সম্প্রতি এই এলাকার নারীদের গর্ভপাত বেশি হচ্ছে। লবণ পানিতে কাজ করার কারণে নারীদের গর্ভপাত হচ্ছে, এমন কোনও বিষয় তার জানা নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।

গাবুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম বলেন, আমাদের চারিদিকে লবণ এবং লবাণক্ত পানিতে কাজ করার ফলে নারীদের বিভিন্ন শারিরীক সমস্যা হচ্ছে। জরায়ু কেটে ফেলার ঘটনা অনেক শোনা যাচ্ছে। এসব কারণে স্বামীর ছেড়ে চলে যাচ্ছে। অধিকাংশ মানুষ শারিরীকভাবে খুবই দুর্বল। এছাড়া এই এলাকার দ্রুত বিয়ে দেওয়ার প্রবণতা বেশি। ফলে তালাকের সংখ্যা বেড়েছে কয়েকগুন। নানা প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে এলাকায় কাজ নেই। ফলে কাজের সন্ধানে পুরুষরা এলাকা ছাড়ছেন। ফলে অভাবের কারণে লবণ পানিতে কাজ করায় অনেক নারীর অকালে গর্ভপাত হচ্ছে। ভুগছে নানা রকম শারীরিক সমস্যায়।

পরিবেশ গবেষক পাভেল পার্থ বলেন বলেন, আমরা গবেষণা চালিয়ে দেখেছি দীর্ঘ সময় লবণ পানিতে কাজ করার ফলে নারীদের বিভিন্ন শারিরীক সমস্যার পাশাপাশি তাদের শাড়ি বা কাপড় বেশি নষ্ট হয়। এ বাবাদ তাদের অনেক আর্থিক ক্ষতি হয়।

স্বেচ্ছাসেবী নারী উন্নয়ন সংগঠন পরিচালক শম্পা গোস্বামী বলেন, এই অঞ্চলে প্রতিদিনের ব্যাবহারের ৮০ ভাগ পানিই লবণাক্ত। এর কারণে এই এলাকার নারীদের নানা রকম সংক্রামণ তৈরী হয়। দুষিত ও লবণাক্ত পানি ব্যবহারের ফলে জরায়ু রোগসহ নানা রকম সমস্যা দেখা দিচ্ছে। ফলে বাচ্চা ধারণ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে অনেক নারী। আগের তুলনায় অধিকাংশ নারী এখন বন্ধা হয়ে যাচ্ছে। অনেক চিকিৎসকের সাথে কথা বলে জেনেছি, বাচ্ছা হচ্ছে না, এই রকম সমস্যা আগের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।

তিনি আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিগত কয়েক বছরের তুলনায় নদীতে লবাণক্তার পরিমান অনেক বেড়ে গেছে। আগে কর্মজীবী নারীদের মধ্যে ৪০ শতাংশ মাছ ধরার কাছে নিয়েজিত থাকতো। এলাকায় কর্মস্থানে অভাবে সেটি বেড়ে দাড়িয়েছে ৭০ শতাংশে । এই এলাকার ৪০ শতাংশ নারী পরিবারের প্রধান। কারণ তাদের স্বামী চলে গেছে না হয় মারা গেছে। সে কারণে বাধ্য হয়ে নদীতে মাছ ধরতে হয়। অনেক সময় সুন্দরবরন সংলগ্ন নদীর পানিতে রেণু পোনা ধরার ফলে নারীদের নানারকম শারিরীক সমস্যা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সমস্যা সমাধান করতে হলে টেকশই বেড়িবাঁধ প্রয়োজন। পানির সময় পানি ধরে সেগুলো দিয়ে তালা বাসন মাজাসহ নানাবিধ ব্যবহারে এই সমস্যা কমানো সম্ভব। এছাড়া যে সকল নারী জীবিকার তাগিদে নদীতে মাছ ধরেন। তাদের মাসিক চলকালীন সময়ে আটকানো গেলে অনেক সমস্যা কমানো সম্ভব। এছাড়া সেফটি কোন পোশাকের মাধ্যমে নারীর স্বাস্থ্য ভালো রাখা যেতে পারে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি সংস্থাকে এগিয়ে আসতে হবে।

সাতক্ষীরা জলবায়ু পরিষদের সমন্বয়কারী অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী বলেন, নদীর লবণাক্ত পানিতে দীর্ঘ সময় কাজ এবং ব্যবহারের ফলে নারীদের গর্ভপাতের মতো ঘটনা ঘটছে। এই অঞ্চলে অনেক বিধবা, বাঘ বিধবা এবং তালাক প্রাপ্ত নারীরা বাধ্য হয়ে রেণু পোনা আহরণ করেন। ২০০৯ সালের পর এই এলাকায় জনসংখ্যা খুব বেশি বাড়েনি। কাজের সন্ধানে পুরুষরা এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। ফলে বেড়েছে নারীর সংখ্যা।

তিনি আরও বলেন, জরায়ুুমুখে ক্যান্সার হচ্ছে কি না, এর পরীক্ষার ব্যবস্থা সরকারি হাসপাতালে আছে। কিন্তু বায়োপসি পরীক্ষার ব্যবস্থা আমাদের সব জায়গায় নেই। লবণাক্ততার কারণেই জরায়ু ক্যান্সার বাড়ছে কি না, এ বিষয়ে আমাদের আরও বেশি গবেষণা দরকার।

সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক আনিসুর রহিম বলেন, বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাগুলো লবণাক্ত পানি ব্যবহারের কারণে এই অঞ্চলে নারীরা জরায়ুসহ নানা শারিরীক সমস্যায় ভুগছেন বলে দাবী করলেও। দু:খের বিষয় সরকারিভাবে কোন জরিপ করা হয়নি।

তিনি আরও বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তেনের প্রভাবে উপকূলের নারীদের শুধু স্বাস্থ্যের ক্ষতি হচ্ছে তা নয় তারা আর্থিকভাবেও ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। যেটা হয়তো চিকিৎসার মাধ্যমে ভালো হওয়া সম্ভব ছিলো। কিন্তু কিছু ক্লিনিকের দালাল টাকার লোভে উপকূলীয় এলাকার নারীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে জরায়ু কেটে ফেলতে বাধ্য করছে। এই কাজের সাথে জড়িতের আইনের আওতায় আনার দাবী জানান তিনি।

তিনি বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, উপজেলা ও জেলা হাসপাতালকে বিশেষ গুরুত্ব ভূমিকা পালন করে। উপকূলীয় এলাকার পর্যাপ্ত পরিমানে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবার উপকরণ, ওষুধ ও চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। কিশোরী ও নারীরা তাদের প্রজনন স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা যাতে তাদের পরিবারও চিকিৎসকদের কাছে নিরাপদে তুলে ধরতে পারে এরকম সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।

বাংলাদেশ পরমানু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) সাতক্ষীরা উপকেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ বাবুল আক্তার বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যে চ্যালেঞ্জগুলো রয়েছে। তার মধ্যে উপকূলীয় এলাকায় দিন দিন লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া অসময়ে বৃষ্টিপাত হচ্ছে, জলমগ্ন হয়ে পড়ছে বিস্তৃণ অঞ্চল, জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। মার্চ-এপিলের পর থেকে ২০-২৫ ডিএস মিটার লবণাক্ত দেখা গেছে। এপ্রিলের এর আগে ১০-১২ ডিএস মিটার পাওয়া যায়। উপকূলীয় এলাকায় ৮ ডিএস মিটারের নিচে কখন নামে না। নিয়মিত এই মাত্রার লবণাক্ততার মধ্যে মানুষ বসবাস করলে শারিরীকভাবে বিভিন্ন সমস্যা তৈরী হওয়া স্বাভাবিক বিষয়।

সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাঃ সবিজুর রহমান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ জেলার উপকূলের মানুষ। সুপেয় পানির অভাব ও লবণাক্ত পানিতে কাজ করার ফলে উপকূলের নারীরা বিভিন্ন শারিরীক সমস্যা ভুগছে। অনেক নারীর জরায়ু সমস্যা নিয়ে স্থানীয় ক্লিনিকগুলোতে গেলে তারা সেগুলো অপারেশন করে দিচ্ছে অনেকে অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি জনগুরুত্বপূর্ণ ও জনস্বাস্থ্যের বিষয়। শ্যামনগর উপকূলে লবণাক্ততা ও নারীর স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি নিয়ে গবেষণা প্রয়োজন। আমাদের চিকিৎসকদেরকেরও গবেষণা কাজে আরও বেশি যুক্ত হওয়ার দরকার। আমাদের পক্ষ থেকে জরিপ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা দরকার। জরায়ু কাটার যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে। এই বিষয়ে নজর রাখবো।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!