বাংলাদেশে ‘অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারের প্রতি সম্মান পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য’ ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) সম্ভাব্য সবকিছু করতে হবে। জোটের বৈদেশিক ও নিরাপত্তা নীতিবিষয়ক উচ্চ প্রতিনিধি এবং ইউরোপিয়ান কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট জোসেপ বোরেলকে এক চিঠিতে এ কথা লিখেছেন ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের দুই প্রভাবশালী সদস্য। তারা পরিস্থিতির ভয়াবহতা বিবেচনায় বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন বাধাগ্রস্তকারী ব্যক্তিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন।
জার্মানির কার্সটেন লুক ও সুইডেনের ইলান ডি ব্যাসো বৃহস্পতিবার এ চিঠি লিখেছেন। এর একটি কপি সমকালও পেয়েছে।
চিঠিতে দুই এমইপি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে লিখেছেন, বিগত সপ্তাহগুলোতে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ বিরোধী কর্মীদের ওপর সহিংস দমননিপীড়ন চালিয়েছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতো মানবাধিকার সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক সাংবাদিকদের তথ্য অনুযায়ী, বিরোধী দলের প্রায় ১০ হাজার নেতাকর্মী-সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তাদের মতে, প্রধান বিরোধী দলগুলোকে যখন হয়রানি করা হয়, তাদের কর্মীরা নির্যাতিত ও গ্রেপ্তার হয় এবং তাদের সমর্থকদের ভয় দেখানো হয়, তখন অবাধ ও বিশ্বাসযোগ্য কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে না।
এমইপিরা বলেন, জানুয়ারির প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন নির্বাচনের ফলাফলের জন্য ইইউর নিষ্ক্রিয়ভাবে অপেক্ষা করা উচিত নয়। বরং আগেই স্পষ্টভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করতে হবে।