মহাবতার শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উৎসব উপলক্ষে বুধবার (০৬ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, খুলনা মহানগর ও জেলা শাখার আয়োজনে বিকেল সাড়ে ৩টায় গোলকমণি শিশু পার্ক (ধর্মসভা)-এ আলোচনা সভা, বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও নগর সংকীর্ত্তনের উদ্বোধন হয়েছে।
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও আওয়ামী লীগ, খুলনা মহানগর সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। এতে প্রধান অতিথি খুলনা-০২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহ্উদ্দিন জুয়েল।
তিনি বলেন, বিভিন্ন মন্দির, শ্মশানের অবকাঠামো উন্নয়নে আমার সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি আওয়ামী লীগের পক্ষে রায় প্রদান করার আহ্বান জানান।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুকুল কুমার মৈত্র। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, খুলনা মহানগর সাধারণ সম্পাদক এমডি এ বাবুল রানা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, খুলনা জেলা সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত কুমার অধিকারী। বক্তব্য রাখেন খুলনা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র পরিচালক গোপী কিষণ মুন্ধ্রড়া, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা বিজয় কুমার ঘোষ, জাতীয় পরিষদের সদস্য শ্যামল কুমার দাস, ইসকন,গল্লামারী শ্রীশ্রীরাধামাধব মন্দিরের অধ্যক্ষ গৌড়েশ্বর নিমাই দাস ব্রহ্মচারী। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, খুলনা জেলা সভাপতি কৃষ্ণপদ দাশ।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, খুলনা মহানগর সভাপতি শ্যামল হালদারের সভাপতিত্বে এবং মহানগর সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কুমার কু-ু ও জেলা সাধারণ সম্পাদক বিমান সাহার সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মোঃ ফারুক হোসেন হিটলু, জেলা যুব লীগ সভাপতি চৌধুরী মোহাম্মদ রায়হান ফরিদ, মহানগর যুব লীগ সভাপতি সফিকুর রহমান পলাশ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শেখ নাছিম, কেসিসি সংরক্ষিত কাউন্সিলর কণিকা সাহা, মহানগর পূজা পরিষদ উপদেষ্টা প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র, সিনিয়র সহ-সভাপতি অরবিন্দ সাহা, সহ-সভাপতি এড. অলোকানন্দা দাস, প্রকৌশলী পরিমল দাস, সমরেশ সাহা, অধ্যাপক তারকচাঁদ ঢালী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ দে মিঠু, কোষাধ্যক্ষ রতন কুমার নাথ, সাংগঠনিক সম্পাদক উজ্জ্বল ব্যানার্জী, জেলা কমিটির নেতা রবীন্দ্র নাথ মিত্র, রতন মিত্র, এড. হিমাংশু চক্রবর্ত্তী, এড. তমাল কান্তি ঘোষ, সুমন দাস, মহানগর সম্পাদকম-লীর সদস্য এড. বীরেন্দ্র নাথ সাহা, এড. বিজন কৃষ্ণ ম-ল, শ্যামাপ্রসাদ কর্মকার, মহাদেব সাহা, গৌরাঙ্গ সাহা, বিমল সাহা, বাবলু বিশ্বাস, সাধন ঘোষ, পঙ্কজ দত্ত, তরুণ রায় শিবু, ভবেশ সাহা, সুজিত মজুমদার, সুরেশ চক্রবর্ত্তী, ভোলানাথ দত্ত, দীপক দত্ত, উজ্জ্বল গাঙ্গুলী, সত্যপ্রিয় সোম বলাই, সুব্রত হালদার, শঙ্কর পোদ্দার, সুশান্ত ব্যানার্জী, শ্যামসুন্দর হালদার, বিশ্বজিৎ সাহা, সুশীল দাস, বাবু শীল, অলোক দে, রবীন দাস, পলাশ সাহা, অম্লান সরদার, সুবর্ণা সাহা, সত্যরঞ্জন পোদ্দার, অভিজিৎ পাল, ডাঃ পরিতোষ রায়চৌধুরী, অশোক সেন, বৈষ্ণব বলরাম দাস, প্রদীপ সাহা মদন, দিপংকর সাধু, স্বপন চক্রবর্ত্তী, নিখিল মজুমদার, অশোক ঘোষ, নারায়ণ দাস, উজ্জ্বল রায়, মাণিক শীল, মিলন সাহা, লিটন চক্রবর্ত্তী, পাপ্পু সরকার, অভিজিৎ সরকার রাহুল, পলাশ রায়, রাজু শীল, সদর থানা সভাপতি বিকাশ সাহা, সোনাডাঙ্গা থানা সভাপতি বিপ্লব মিত্র, সাধারণ সম্পাদক রামচন্দ্র পোদ্দার, খালিশপুর থানা সভাপতি রজত কান্তি দাস, দৌলতপুর থানা সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ অধিকারী, লবণচরা থানা সভাপতি ডাঃ শেখর পাল, হরিণটানা সাধারণ সম্পাদক রঞ্জন রায়, আড়ংঘাটা থানা আহ্বায়ক আশিষ কবিরাজ প্রমুখ।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানের পর এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও নগর সংকীর্ত্তন সহকারে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে দোলখোলাস্থ শ্রীশ্রী শীতলাবাড়ী ঠাকুরানী মন্দির প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয় এবং ভক্তদের মাঝে প্রসাদ বিতরণ করা হয়। সন্ধ্যা ৭টায় বিশেষ প্রার্থনা, সন্ধ্যা ৭:৩০টায় ধর্মীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও রাত ১২:০১ মিনিটে শ্রীশ্রীকৃষ্ণ পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
অপরদিকে বুধবার বিকেল সাড়ে ৪ টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে শুভ জন্মাষ্টমী উদযাপন উপলক্ষ্যে দু’দিনব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. উত্তম কুমার মজুমদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, জন্মাষ্টমী হল শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মতিথি। শ্রীকৃষ্ণের আর্বিভাবের উদ্দেশ্য ভারতবষর্ই শুধু নয় মর্ত্য থেকে অশুভ শক্তির বিনাশ এবং পৃথিবীতে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা। পৃথিবীতে যেখানেই অন্যায় হয়েছে সেখানেই ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য শ্রীকৃষ্ণ অবতার পাঠিয়েছে। তিনি বলেন পৃথিবীতে যতো ধর্ম এসেছে প্রতিটি ধর্মেই একই অন্তর্নিহিত কথা রয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ট্রেজারার প্রফেসর অমিত রায় চৌধুরী বলেন প্রত্যেকটি ধর্মেরই যে মূল লক্ষ্য সেটি হচ্ছে মানুষে মানুষে সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি এবং ন্যায় প্রতিষ্ঠা। তিনি আরও বলেন ন্যায়কে প্রতিষ্ঠা করতে গেলে অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়া যাবে না। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলা ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক মো. আবুল ফজল। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক দীপক চন্দ্র মন্ডল। অনুষ্ঠান শেষে উপাচার্যের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মন্দির প্রাঙ্গন থেকে শুরু করে আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের পাশ দিয়ে ক্যাফেটেরিয়া ও অদম্য বাংলা হয়ে হাদী চত্বর ঘুরে পুনরায় মন্দির প্রাঙ্গনে এসে শেষ হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যায়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় মন্দিরে বিকাল সাড়ে ৪টায় পূজা আরম্ভ, বিকাল সাড়ে ৫টায় ভজন ও সংকীর্তন।
খুলনা গেজেট/কেডি