Edit Content
খুলনা বাংলাদেশ
বুধবার । ২৩শে জুলাই, ২০২৫ । ৮ই শ্রাবণ, ১৪৩২

ই-পেপার

Edit Content

অ্যান্টিবায়োটিক ৯০ ভাগ অকার্যকর : গবেষণা

গেজেট ডেস্ক

দেশের প্রধান সংক্রমিত জীবাণুগুলোর বিরুদ্ধে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের বেশিরভাগ অ্যান্টিবায়োটিক প্রায় ৯০ ভাগ অকার্যকর হয়ে গেছে। সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।

সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) শহীদ ডা. মিল্টন হলে আয়োজিত এক ডেসিমেশন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মাইক্রোবায়োলজি ও ইমিউনোলজি বিভাগ গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করে।

গবেষণায় দেখা গেছে, দেশে অন্তত ৭৫ ভাগ ইনফেকশন হয় টাইফয়েড, ই-কোলাই, স্ট্যাফাউরিয়াস, ক্লিবশিয়েলা, সিউডোমোনাস ব্যাকটেরিয়া দিয়ে। এই ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে অ্যাকসেস ও ওয়াচ গ্রুপের অ্যান্টিবায়োটিক অকেঁজো হয়ে গেছে প্রায় ৯০ ভাগ।

এছাড়া আইসিইউর রোগীদের যে অ্যান্টিবায়োটিক চিকিৎসা চলতো তা এখন ওয়ার্ডের রোগীদেরও দিতে হচ্ছে। এছাড়া যেসব জীবাণু আগে শুধু আইসিইউতে মিলতো তা এখন কমিউনিটিতেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে।

অনুষ্ঠানে মাইক্রোবায়োলজি ও ইমিউনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাঈদা আনোয়ার গবেষণা পত্র তুলে ধরেন। আর সংক্রামক ব্যাধি চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিক এর ব্যবহার ও কার্যকারিতার চ্যালেঞ্জসমূহ বর্ণনা করেন অধ্যাপক ডা. মো. ফজলে রাব্বি চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিএসএমএমইউ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে কঠিন রোগে মানুষকে সেবা দিতে এবং মানুষকে বিদেশ না যেয়ে দেশেই চিকিৎসা নিতে। তাই ভবিষ্যতেও চিকিৎসা খাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করতে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে এবং হবে।’

প্রয়োজনীয় পরীক্ষা- নীরিক্ষা না করে রোগীদের অ্যাান্টিবায়োটিক দেয়া যাবেনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অযাচিত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে মানুষ এখন প্রতিরোধী হয়ে উঠেছে। দেশে প্রতিবছর ১ লাখ ৭০ হাজার লোক দেশে মারা যায় অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্সের কারণে। এই অবস্থা চলতে থাকলে আগামী ২০৫০ সালে গিয়ে দেখা যাবে করোনা থেকেও বেশি রোগী মারা যাবে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্সের কারণে।’

খুলনা গেজেট/ টিএ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন