Edit Content
খুলনা বাংলাদেশ
মঙ্গলবার । ২২শে জুলাই, ২০২৫ । ৭ই শ্রাবণ, ১৪৩২

ই-পেপার

Edit Content

স্কিন ক্যানসারের ৫ লক্ষণ যা আমরা সহজে এড়িয়ে যাই

লাইফ স্টাইল ডেস্ক

স্কিন ক্যানসার হলো সবচেয়ে সাধারণ ধরনের ক্যানসার, যা ত্বকের কোষে ক্যানসারসেল (ম্যালিগন্যান্ট) গঠনের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়। এর পেছনে প্রধান কারণ হতে পারে বংশগত উপাদান ও দীর্ঘদিন সূর্যের অতিরিক্ত এক্সপোজার। অনেক সময় শুরুতে এটি সাধারণ ত্বকের সমস্যার মতো মনে হয়, ফলে উপেক্ষা করা হয়।

কিন্তু সময়মতো শনাক্ত না হলে এটি মারাত্মক রূপ নিতে পারে। অন্যান্য ক্যানসারের মতোই স্কিন ক্যানসারের ক্ষেত্রেও সময়মতো ধরা পড়লে চিকিৎসা সহজ হয় এবং সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বাড়ে। নিচে ত্বকের ক্যানসারের কয়েকটি প্রথম দিকের লক্ষণ তুলে ধরা হলো, যেগুলো অনেকেই সাধারণ বলে মনে করেন।

১. খসখসে, আঁশযুক্ত বা কাঁটার মতো প্যাচ

স্কিন ক্যানসারের এক প্রাথমিক লক্ষণ হলো ত্বকে খসখসে বা আঁশযুক্ত প্যাচ দেখা দেয়া। দেখতে অনেকটা শুকনো ত্বক বা ওয়ার্টের মতো লাগে। এগুলোর রং হয় বাদামি, লালচে বা ত্বকের রঙের মতো। সাধারণ ময়েশ্চারাইজার বা ক্রিমে এটি ঠিক হয় না এবং স্পর্শ করলে রুক্ষ বা খসখসে লাগে। সাধারণত মুখ, ঘাড় ও হাতের মতো সূর্যের আলোতে বেশি এক্সপোজড জায়গাগুলোতে দেখা যায়। অনেকেই এই লক্ষণকে তেমন গুরুত্ব দেন না, কিন্তু এটি স্কিন ক্যানসারের ইঙ্গিত হতে পারে।

২. চুলকানি বা জ্বালাপোড়া যেটা ভালো হয় না

যদি ত্বকে চুলকানি, লালচে প্যাচ বা একজিমার মতো উপসর্গ দেখা দেয় এবং সেটা সাধারণ ওষুধে বা ক্রিমে সারে না, তাহলে তা ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে। এসব জায়গায় ত্বক লালচে হয়ে থাকতে পারে, কখনও ক্ষতও হতে পারে। এটি ত্বকের নিচে ক্যানসার কোষের উপস্থিতিতে সৃষ্ট প্রদাহের কারণে হয়। একে কয়েক সপ্তাহ ধরে পর্যবেক্ষণ করা উচিত এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া জরুরি।

৩. চকচকে, মুক্তার মতো ছোট গাঁট

স্কিন ক্যানসারের একটি সাধারণ ধরন বসাল সেল কারসিনোমা—যেটি ত্বকে ছোট ছোট চকচকে বা মুক্তার মতো গাঁট তৈরি করে। এগুলো দেখতে অনেকটা মোম বা জেলির মতো লাগে এবং এর ভেতর দিয়ে ছোট ছোট রক্তনালিও দেখা যেতে পারে। এই গাঁটগুলো সাধারণত নাক, কানের আশপাশ ও কপালের মতো সূর্য এক্সপোজড জায়গায় হয়। অনেক সময় মানুষ এগুলোকে সাধারণ ব্রণ বা তিল ভেবে ভুল করেন।

৪. ঘা যা সারতে চায় না বা বারবার ফিরে আসে

যদি ত্বকে কোনো ঘা হয়, সেটা শুকালেও কিছুদিন পর আবার ফিরে আসে, তাহলে এটি ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। এমন ঘাগুলোতে রক্ত পড়তে পারে বা পুঁজ বের হতে পারে, কিন্তু তা পুরোপুরি সারবে না। স্কোয়ামাস সেল বা বসাল সেল কারসিনোমার ক্ষেত্রে এ ধরনের ঘা সাধারণ। বিশেষ করে সূর্যের আলোতে বেশি এক্সপোজড জায়গায় ঘা দীর্ঘদিন থাকলে, দ্রুত ডার্মাটোলজিস্টের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

৫. তিলের আকার, রং বা গঠনের পরিবর্তন

মেলানোমা সবচেয়ে ভয়ংকর স্কিন ক্যান্সারের ধরন প্রথমে একটি তিল বা দাগের পরিবর্তনের মাধ্যমে ধরা পড়ে। সাধারণ তিল হঠাৎ করে বড় হয়ে যাওয়া, রঙে পরিবর্তন আসা বা খসখসে হয়ে যাওয়া মেলানোমার লক্ষণ হতে পারে। এ ক্ষেত্রে মনে রাখার জন্য ‘এবিসিডি’ নিয়ম ব্যবহার করা হয়:

A (Asymmetry): তিলের দুটি পাশ অসমান হয়ে যাওয়া
B (Border): তিলের কিনারা অস্পষ্ট বা ফাটলযুক্ত
C (Color): তিলে একাধিক রঙ দেখা যাওয়া
D (Diameter): তিলের ব্যাস ৬ মিলিমিটারের বেশি হওয়া
E (Evolution): সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিলের রূপ পরিবর্তন হওয়া, চুলকানো বা রক্ত পড়া

যদি হঠাৎ করে নতুন কোনো তিল দেখা দেয় বা পুরনো তিলে এই পরিবর্তনগুলো দেখা যায়, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা জরুরি।

তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

 

খুলনা গেজেট/এনএম




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন