Edit Content
খুলনা, বাংলাদেশ
শুক্রবার । ২৫শে জুলাই, ২০২৫ । ১০ই শ্রাবণ, ১৪৩২

ই-পেপার

Edit Content

সাতক্ষীরায় করোনা উপসর্গ নিয়ে আরও ৪ জনের মৃত্যু

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরায় করোনা উপসর্গ নিয়ে একদিনে দুই নারীসহ ৪ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার পৃথক সময়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফ্লু কর্নারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান। জ্বর, শ্বাসকষ্টসহ করোনা উপসর্গ নিয়ে তারা সম্প্রতি সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।

করোনা উপসর্গে মৃত ব্যক্তিরা হলেন, সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা শরীফ এলাকার ওমর হোসেনের স্ত্রী তাহমিনা খাতুন (৫৫), তালা উপজেলার মাগুরা বারুইপাড়া গ্রামের মৃত শমসের আলীর স্ত্রী রিজিয়া খাতুন (৭০), শ্যামনগর উপজেলার তাঁতখালি গ্রামের মৃত হারান চন্দ্রের ছেলে বাসুদেব (৭৮) ও সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈকারী গ্রামের রাসেদুল ইসলামের ছেলে মোঃ আব্দুল মজিদ (২৪)।

মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ রফিকুল ইসলাম জানান, জ্বর ও শ্বাসকষ্টসহ করোনার উপসর্গ নিয়ে গত ৮ সেপ্টেম্বর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা শরীফ এলাকার ওমর হোসেনের স্ত্রী তাহমিনা খাতুন। হাসপাতালের ফ্লু কর্নারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার ভোর পৌনে ১ টার দিকে তিনি মারা যান। একই ধরনের উপসর্গ নিয়ে গত ২৫ আগস্ট সামেক হাসপাতালে ভর্তি হন তালার মাগুরা বারুইপাড়া গ্রামের মৃত শমসের আলীর স্ত্রী রিজিয়া খাতুন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার ভোর রাত ৩ টার দিকে তিনি মারা যান।

এদিকে জ্বর, শ্বাস কষ্ট ও নিউমোনিয়া নিয়ে গত ১২ সেপ্টেম্বর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফ্লু কর্নারে ভর্তি হন শ্যামনগরের তাঁতখালি গ্রামের বৃদ্ধ বাসুদেব চন্দ্র। অবস্থার অবনিত হলে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে তিনি মারা যান। উল্লেখিত তিন জনের করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপতালের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু তাদের রির্পোট এখনো সাতক্ষীরায় এসে পৌছায়নি।

একইভাবে করোনা উপসর্গ নিয়ে গত ১৬ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি হন সদর উপজেলার বৈকারী গ্রামের রাসেদুল ইসলামের ছেলে মোঃ আব্দুল মজিদ। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৮ টার দিকে সেও মারা যায়। করোনা পরীক্ষার জন্য তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডাঃ হুসাইন শাফায়াত বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের লাশ সৎকার ও দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে। একই সাথে তাদের বাড়ি লকডাউনের জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে বলা হয়েছে। এনিয়ে, জেলায় করোনার উপসর্গ নিয়ে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মারা গেছেন অন্তত ৮৯ জন আর ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরো ৩০ জন।

খুলনা গেজেট/এমআর

 




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন