Edit Content
খুলনা বাংলাদেশ
বৃহস্পতিবার । ২৪শে জুলাই, ২০২৫ । ৯ই শ্রাবণ, ১৪৩২

ই-পেপার

Edit Content

সাতক্ষীরায় দুই চিকিৎসকসহ ১০ জনের করোনা শনাক্ত, উপসর্গে মৃত্যু ২

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরায় করোনা উপসর্গ নিয়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতালের ফ্লু কর্ণারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার তারা দু’জন মারা যান।

করোনা উপসর্গে মৃত ব্যক্তিরা হলেন, সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার শোভানালী গ্রামের মৃত কানাইলাল সরকারের ছেলে বৈদ্যনাথ সরকার (৬০) ও যশোরের কেশবপুর উপজেলার পুরুলিয়া গ্রামের মৃত খাইরুল বাশারের ছেলে হারুন-অর-রশিদ (৫৫)।

এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় সাতক্ষীরায় নতুন করে দুই চিকিৎসক ও এক বিজিবি সদস্যসহ ১০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় ২৪ আগষ্ট (সোমবার) পর্যন্ত মোট ৯৫৭ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সোমবার দুপুরে খুমেক হাসপাতালের পিসিআর ল্যাব থেকে পাওয়া নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে এ তথ্য জানা গেছে বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরার স্বাস্থ্য বিভাগ।

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ রফিকুল ইসলাম জানান, জ্বর ও শ্বাসকষ্টসহ করোনা উপসর্গ নিয়ে গত ৮ আগস্ট সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফ্লু কর্ণারে ভর্তি হন আশাশুনির বৈদ্যনাথ সরকার। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার ভোর রাত সাড়ে ৩টার দিকে তিনি মারা যান।

অপরদিকে, কেশবপুরের হারুন-অর-রশিদ জ্বর ও শ্বাসকষ্টসহ করোনা উপসর্গ নিয়ে গত ৭ আগস্ট সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায়ও তিনি
মারা যান। হাসপাতালে ভর্তির পর পরই তাদের দু’জনের নমুনা সংগ্রহ করে পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হলেও এখনও পর্যন্ত রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে বৈদ্যনাথ সরকারের মরদেহ সৎকার ও হারুন-অর-রশিদ এর মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। একই সাথে তাদরে বাড়ি লকডাউন করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে বলা হয়েছে। এনিয়ে, সাতক্ষীরায় কোভিড-১৯ উপসর্গ নিয়ে ২৪ অগষ্ট পর্যন্ত মারা গেছেন অন্তত ৭৫ জন। আর আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরো ২৭ জন।

সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ জয়ন্ত সরকার জানান, সোমবার পর্যন্ত এ জেলা থেকে মোট ৪ হাজার ৭৩৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষার জন্য পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। ইতিমধ্যে ৩ হাজার ৪৫১ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এসে পৌঁছেছে। এর মধ্যে ৯৫৭ জনের রিপোর্ট পজেটিভ ও বাকী সব নেগেটিভ এসেছে। এছাড়া ৭৫১ জন সুস্থ হয়েছেন। ইতিমধ্যে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের বাড়ি লক ডাউন করা হয়েছে।

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন