Edit Content
খুলনা বাংলাদেশ
বুধবার । ২৩শে জুলাই, ২০২৫ । ৮ই শ্রাবণ, ১৪৩২

ই-পেপার

Edit Content

যশোরে হত্যা মামলার আসামির পলায়নের ঘটনায় মামলা, কনস্টেবল ক্লোজড

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

যশোর আদালতের হাজতখানা পুলিশের কাছ থেকে হ্যান্ডকাফ খুলে হত্যা মামলার আসামি পালানোর ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। রোববার রাতে যশোর জজ আদালতের হাজতখানার দায়িত্বে থাকা এটিএসআই আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে পলাতক জুয়েল খানের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। পলাতক আসামি জুয়েল খান মাগুরার শালিখা উপজেলার রামপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর খানের ছেলে।

এদিকে, এ ঘটনায় নারী পুলিশ কনস্টেবল সোনালী আক্তারকে সোমবার (১৯ মে ) সকালে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মামলায় বাদী উল্লেখ করেছেন, তিনি ও কনস্টেবল আফজাল শরীফ একটি হত্যা মামলার দুই আসামি জুয়েল খান ও হারুন অর রশিদকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের এজলাসে রেখে নিচে আসেন। এ মামলার রোববার ছিল ধার্য তারিখ। ওই এজলাস কক্ষে মহিলা কনস্টেবল সোনালি আক্তার ডিউটিতে ছিলেন। সোনালির কাছে দুই আসামি রেখে তারা নিচে হাজত খানায় চলে আসেন। এরমাঝে ২ টা ৪০ মিনিটে আদালতের এজলাস থেকে ওই দুই আসামিকে নিয়ে সোনালি হাজতখানায় আসছিলেন। এ সময় জজ আদালতের নিচতলায় সিড়ির কাছে পৌছালে কৌশলে জুয়েল হাতকড়া ভেঙে পালিয়ে যায়। পরে আরেক আসামি হারুন অর রশিদকে হাজত খানায় নিয়ে যান এবং বিষয়টি জানান। এরপর তারা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করে না পেয়ে পুলিশ হেফাজত থেকে পলানোর অপরাধে জুয়েলের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন।

উল্লেখ্য, মাগুরার শালিখা উপজেলার হরিশপুর গ্রামের ইজিবাইক চালক আল-আমিন হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রধান আসামি জুয়েল। ২০২১ সালের ৯ ডিসেম্বর মাগুরা থেকে আল-আমিনের ইজিবাইক ভাড়া করে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার বুধোপুর গ্রামে এনে তাকে হত্যা করে ইজিবাইক নিয়ে চম্পট দেয় জুয়েলসহ তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় বাঘারপাড়া থানায় মামলা হয়। ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর র‌্যাব-৬ খুলনার স্পেশাল টিম জুয়েলসহ মামলার চার আসামিকে আটক করে এবং তারা হত্যার ঘটনা স্বীকার করে। পরে তাদেরকে বাঘারপাড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়। এরপর থেকেই জুয়েল কারাগারে আটক ছিল। রোববার জুয়েল ও হারুনকে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন