Edit Content
খুলনা বাংলাদেশ
মঙ্গলবার । ২২শে জুলাই, ২০২৫ । ৭ই শ্রাবণ, ১৪৩২

ই-পেপার

Edit Content
পেহেলগামে হামলা

টিআরএফকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ তকমা দিলো যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জা‌তিক ডেস্ক

গত এপ্রিলে ভারতের জম্মু ও কাশ্মির রাজ্যের অনন্তনাগ জেলার পেহেলগামে জঙ্গি হামলা পরিচালনকারী গোষ্ঠী দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ)-কে ‘ভিনদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ (ফরেন টেরোরিস্ট অর্গানাইজেশন-এফটিও) এবং ‘বিশেষভাবে স্বীকৃত বৈশ্বিক সন্ত্রাসী’ (স্পেশালি ডেজিগনেটেড গ্লোবাল টেররিস্ট-এসডিজিটি) তকমা দেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মার্কিন পররাষ্ট্রমমন্ত্রী মার্কো রুবিও স্বাক্ষরিত সেই বিবৃতিতে পেহেলগামে হামলার ঘটনাকে উদ্ধৃত করে বরা হয়েছে, “যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ এবং সর্বোপরি পেহেলগামে হামলার ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ন্যায়বিচারের ডে ডাক দিয়েছেন— তার প্রতিফল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্ত। যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্ট অ্যান্ড এক্সিকিউটিভ অর্ডার ১৩২২৪ অনুযায়ী টিআরএফ এবং এই গোষ্ঠীটির সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের এফটিও এবং এসডিজিটি তকমা দেওয়া হয়েছে।”

গত ২২ এপ্রিল পেহেলগামের বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গি হামলায় ২৫ জন ভারতীয় এবং একজন নেপালি পর্যটককে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর হামলার দায় স্বীকার করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিবৃতি দেয় টিআরএফ।

পরে অনুসন্ধানে জানা যায়, এই টিআরএফ আসলে পাকিস্তানি কাশ্মিরভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই তৈয়বার (লেট) একটি শাখা বা উপশাখা। হামলায় যারা অংশ নিয়েছিল, তাদেরও বেশিরভাগ পাকিস্তানি কাশ্মির থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ করেছিল। প্রসঙ্গত, লস্কর-ই তৈয়বাকে কয়েক বছর আগে সন্ত্রাসী সংগঠনের তকমা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

পেহেলগামে জঙ্গি হামলাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট উত্তেজনার জেরে গত ৪ জুন সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছিল ভারত ও পাকিস্তান। টানা ৪ দিন সংঘাতের পর পঞ্চম দিনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হস্তক্ষেপে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদ।

এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় বলেছেন, “যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারত উভয়েই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে এবং মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই পদক্ষেপ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দুই দেশের সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্কের নিদর্শন।”

সূত্র : রয়টার্স

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন