Edit Content
খুলনা বাংলাদেশ
বুধবার । ২৩শে জুলাই, ২০২৫ । ৮ই শ্রাবণ, ১৪৩২

ই-পেপার

Edit Content

খুলনাঞ্চলে গড়ে উঠবে নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠান, বাড়বে কর্মসংস্থান

নিজস্ব প্রতি‌বেদক

বহু প্রত্যাশিত পদ্মাসেতুর উদ্বোধন হবে আগামী ২৫ জুন। ওইদিন সকাল ১০ টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা বহুমুখী সেতুর উদ্বোধন করবেন। এরপরের দিন যানবাহন চলাচলের জন্য পদ্মাসেতুর দ্বার উন্মুক্ত করা হবে। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে এই অঞ্চলের মানুষের স্বপ্ন বাস্তাবায়ন হবে।

খুলনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজের সভাপতি কাজী আমিনুল হক খুলনা গেজেটকে বলেন, পদ্মা আমাদের স্বপ্নের ও গর্বের সেতু। এটি বাস্তবায়নের জন্য সর্বপ্রথম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। বেনাপোল, ভোমরা, মোংলা এবং পায়রা এই চারটি পোর্টের আমদানী করা সমস্ত মালামালই স্বল্প ব্যয়ে ঢাকায় পৌছাবে। এই অঞ্চলের যত শাক-সবজি, মাছ স্বল্প খরচে ঢাকায় পৌছাবে। ভারত থেকে আমদানী করা পেঁয়াজ, ফল ঘাটে দুইদিন-তিনদিন বসে থাকার পরে নষ্ট হয়ে যায়। সেগুলো আমরা অল্প খরচে ঢাকা পাঠাতে পারবো। এতে আমরা যেমন উপকৃত হচ্ছি, তেমনই পদ্মার ওপারের মানুষ একইভাবে উপকৃত হবে। তারাও সুন্দর ও ভালো জিনিস অল্প দামে পাবে।

তিনি বলেন, শুধু খুলনা নয়, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা এইসব অঞ্চলে বাংলাদেশর যতো প্রতিষ্ঠিত বড় ব্যবসায়ী সংগঠক আছে, তারা জমি-জমা কিনছে শিল্প গড়ার জন্য। যখনই তারা শিল্প চালু করবে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে। একই সঙ্গে তাদের উৎপাদিত পণ্য স্বল্প খরচে একদিনে ঢাকায় পৌছাবে।

বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান হবে উল্লেখ করে এই ব্যবসায়ী নেতা বলেন, একদিনে কর্মসংস্থান হবে না, উদ্বোধন হওয়ার পর প্রতিটি দিন, প্রতিটি মাস-প্রতিটি বছর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এখানকার শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোতে ব্যাংক যেন সঠিকভাবে ফাইন্যান্স করে, পিছিয়ে না যায়। রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হলে এই অঞ্চলে বিদ্যুতের কোন সমস্যা হবে না।

তিনি বলেন, সাথে সাথে যদি খানজাহান আলী বিমানবন্দর চালু হয়ে যায় তাহলে এই অঞ্চলের মোংলা পোর্টসহ সুন্দরবনের পর্যটন শিল্প সবদিকের উন্নয়ন হবে। ব্যাপক সুফল বয়ে আনবে।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হতে শুরু করে পদ্মা সেতুর কাঠামো। এরপর একে একে ৪২টি পিলারে বসানো হয় ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান। ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু পুরোপুরি দৃশ্যমান হয় ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর। আগামী ২৫ জুন স্বপ্নের পদ্মাসেতুর উদ্বোধন করা হবে।

খুলনা গে‌জেট/ টি আই




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন