Edit Content
খুলনা বাংলাদেশ
বুধবার । ২৩শে জুলাই, ২০২৫ । ৮ই শ্রাবণ, ১৪৩২

ই-পেপার

Edit Content

খুলনায় প্রতিদিন কোটি টাকার তরমুজ বাণিজ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

তীব্র দাবদাহ ও রোজায় তরমুজের চাহিদা ক্রমেই বেড়ে চলেছে খুলনায়। জেলার পাঁচ উপজেলা থেকে প্রতিদিন কোটি টাকার উপরে তরমুজ যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।

খুলনার পাঁচ উপজেলা দাকোপ, পাইকগাছা, কয়রা, ডুমুরিয়া ও বটিয়াঘাটায় তরমুজ উৎপাদন হয়। চাষীরা সরাসরি উপজেলা থেকে খুলনার কদমতলা আড়তগুলোতে নিয়ে আসেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্রে জানা যায়, জেলায় মোট ৭ হাজার ৫শ’ ১২ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করা হয়। দাকোপে ৩ হাজার ৪শ’ ৭, বটিয়াঘাটায় ২ হাজার ১শ’ ৫০, পাইকগাছায় ১হাজার ১শ’, কয়রায় ৬শ’ ৫০ ও ডুমুরিয়ায় ২শ’ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়। এছাড়া বিচ্ছিন্নভাবে ৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়।

খুলনার আড়তে প্রতিদিন দু’লাখ তরমুজের চাহিদা রয়েছে। যার ন্যূনতম মূল্য এক কোটি টাকা। খুলনার চাষীরা এ চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম বলে জানিয়েছেন আড়তদাররা। উল্লেখযোগ্য আড়ৎগুলো হলো আমিন উল্লাহ ভান্ডার, মোল্লা ভান্ডার, বিসমিল্লাহ ভান্ডার, সুমন ট্রেডিং, আচল বাণিজ্য ভান্ডার, লাকি ট্রেডার্স, বাগদাদ ট্রেডিং, তানভীর ভান্ডার, মেসার্স তকদীর ভান্ডার প্রভৃতি। ফেনি, চৌমহনী, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, চাদপুর, হাজীগঞ্জ, বি.বাড়িয়া, সিলেট, হবিগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল, চকরিয়া, টেকনাফ ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় তরমুজ পৌঁছায় এসব আড়ত থেকে।

পাইকগাছার হরিণখোলার তরমুজ চাষী পবিত্র গোয়ালদার বলেন, তরমুজ চাষ লাভজনক হলেও কেজিতে বিক্রি করতে না দেয়ায় আমরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছি।

পাইকগাছার দারুন মল্লিকের তরমুজ চাষি সদামন্ডল বলেন, এ বছরে এখনো খুব একটা বৃষ্টি হয়নি। বৃষ্টির কারণে একটু পিছিয়ে রয়েছি। তবে বৃষ্টি হলে ফের গতি ফিরে পাবো।

পাইকগাছার দারুন মল্লিকের কামরুজ্জামান শিকারি বলেন, বৃষ্টি না হওয়া ও কেজিতে বিক্রি করতে না পারায় আমি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি।

মেসার্স আঁচল বাণিজ্য ভান্ডারের প্রোপাইটার ও কদমতলা ব্যবসায়ীক সমিতির সাধারণ সম্পাদক গৌরাঙ্গ সাহা বলেন, খুলনা বাজারে তরমুজের চাহিদা দু’লাখ। যার বাজার মূল্য রয়েছে নূন্যতম এক কোটি টাকা। যার চাহিদা মেটাতে সক্ষম হয়েছে খুলনার ব্যবসায়ীরা।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন