Edit Content
খুলনা বাংলাদেশ
বুধবার । ২৩শে জুলাই, ২০২৫ । ৮ই শ্রাবণ, ১৪৩২

ই-পেপার

Edit Content
সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে ২ টাকা

খুলনার বাজারে চালের সরবরাহ চাহিদার মাত্র ২৫ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

টানা কয়েকদিনের লকডাউনের কারণে বেনাপোল ও ভোমরা দিয়ে আমদানিকৃত চাল আসছে না। মৌসুমের শেষ সময় হলেও বোরো চাল এখনও বাজারে আসেনি। কুষ্টিয়ার ৪০ রাইসমিল বন্ধ থাকায় সেখান থেকে চাল আসছে না। সবমিলিয়ে খুলনা ও দৌলতপুরের বাজারের চালের সংকট দেখা দিয়েছে। সরবরাহ প্রতিদিনের চাহিদার ২৫ শতাংশ। দাম বেড়েছে কেজি প্রতি গড়ে দুই টাকা।

বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। পাশাপাশি বিভাগীয় শহরে ওএমএসের চাল বিক্রি চলছে। লোকসান এড়াতে খুলনা ও যশোরের ১৪ আমদানিকারক চাল আনছে না। গত ১৪ এপ্রিল থেকে সর্বাত্মক লকডাউন হওয়ায় যশোর ও দিনাজপুর থেকে চাল আসছে না। গত মার্চ মাসে বেনাপোল ও ভোমরা শুল্ক স্টেশন দিয়ে আসা চালের মধ্যে ভারতীয় লক্ষ্মীভোগ, বঙ্গবন্ধু, বঙ্গলক্ষী, কেশরভোগ, বাবুমশাই, ব্লাকবেরি, গীতাঞ্জলি, মেনাক, কনক অঞ্জলী ও প্রগতি ব্রান্ডের চিকন চাল বড়বাজার ও দৌলতপুর আড়তে মজুদ রয়েছে।

প্রতিদিন এসব আড়তে পাঁচ হাজার মেট্টিকটন চালের চাহিদা রয়েছে। বিভিন্ন স্থান থেকে পিকআপ যোগে এক হাজার পাঁচ শ’ মেট্টিকটনের বেশি চাল আসছে না।

বড়বাজারের নবযুগ ট্রেডার্সের মালিক খান মুনির আজাদ জানান, খুলনা ও যশোরের রাইসমিল মালিকদের মজুদ শেষ হয়ে আসছে। ফলে সেখান থেকে চাল আসছে না। অপরদিকে বোরো বাজারে আসেনি, ওএমএস চালু হয়েছে। আমদানিকারকরা ভারত থেকে চাল আনছেন না। সব মিলিয়ে সংকট।

মেসার্স বাবুল স্টোরের মালিক, বাবুল ফারাজি জানান, পাইকারি বাজারে গড়ে দু’টাকা মূল্য বেড়েছে। ভারতীয় চালের মজুদও ফুরিয়ে আসছে। ফলে সব আড়তেই চালের সংকট। সিরাজিয়া ভান্ডারের মালিক আশিকুজ্জামান জানান, দিনভর বিকিকিনি হয়নি। সোহাগ ভান্ডারের মালিক সোহাগ দেওয়ান জানান, মিনিকেট, নাজির শাইল, আমদানিকৃত বালাম ও মোটা চালের দাম বেড়েছে। পাইকারি আড়তে রোববার মোটাচাল ৪৫ টাকা ও মিনিকেট ৬২ টাকা প্রতি কেজিদরে বিক্রি হয়েছে।

খুলনা ময়লাপোতা সন্ধা বাজারের খুচরা বিক্রেতা মোঃ রফিকুল জানান, স্বর্না ৪৮, বুলেট ৪৫, রত্না বালাম ৫২ টাকা, বাসমতি ৭০ টাকা, আটাশ বালাম ৫৪, নাজির ৫৪, বালাম ৫৪, সুপার মিনিকেট ৬৮, মিনিকেট ৬৪ ও বাসুমতি ৭২ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে। যা গত সপ্তাহের চেয়ে ২ টাকা করে বেশি।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন