Edit Content
খুলনা, বাংলাদেশ
শুক্রবার । ২৫শে জুলাই, ২০২৫ । ১০ই শ্রাবণ, ১৪৩২

ই-পেপার

Edit Content

খুলনায় পাটের বাজার অস্থিতিশীল

নিজস্ব প্রতিবেদক

নতুন পাট ওঠার পর থেকে খুলনার কাঁচা পাটের বাজার পারদের মত ওঠানামা করছে। এক মাসের ব্যবধানে মণ প্রতি প্রকারভেদে ২শ’ থেকে ৬শ’ টাকা করে বেড়েছে। বেসরকারি পাটকলগুলোতে চাহিদা বাড়ায় কাঁচা পাটের দাম বাড়ছে। গত মৌসুমে পাটের মূল্য ছিল মন প্রতি ৫ হাজার টাকা। ১ জুলাই থেকে এবারের মৌসুম শুরু হয়েছে।

অনাবৃষ্টি ও আম্পানের কারণে গেল মৌসুমে পাট উৎপাদন ব্যাহত হয়। মূল্য আকাশচুম্বী হয়। বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য গেল বছর দফায় দফায় মোবাইল কোট পরিচালনা করতে হয়। এক হাজার মেট্রিক টন মজুদ রাখার নিয়ম বেঁধে দেওয়া হয়। কাঁচা পাটের সংকটের কারণে সেবার খুলনার ১৭ টি বেসরকারি পাটকলের মধ্যে ৮ টির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।

পাট অধিদপ্তরের সূত্র বলেছে,বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট,চিতলমারী,খুলনার ডুমুরিয়ার,চুকনগর, পাইকগাছার কপিলমুনি,সাতক্ষীরার ঝাউডাঙ্গা,তালা ও কলারোয়া হাটে মৌসুমের শুরু থেকেই কাঁচাপাট আমদানি হচ্ছে। এখনও তা অব্যাহত রয়েছে।

পাট অধিদপ্তর খুলনা মুখ্য পরিদর্শক সরজিত সরকার তথ্য দিয়েছেন, নভেম্বরে প্রতি মণ পাট প্রকারভেদে ২৪শ’ থেকে ২৬শ’ টাকা দরে বিক্রি হয়। ডিসেম্বরে প্রতি মণ পাটের দাম ছিল ৩হাজার থেকে ৩২শ’ টাকা। তিনি জানান,দেশের অভ্যন্তরে ধান,চাল,গম,আটা,আলু,তুষসহ ১৯ পণ্য মোড়কীকরণে পাটের বস্তার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করায় কাঁচা পাটের ব্যবহার বেড়েছে। পাশাপাশি এ অঞ্চলে বেসরকারি পাটগুলোতে কাঁচা পাটের আর সংকট নেই। অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম বাড়ায় কাঁচা পাট রপ্তানি কমেছে। বিদেশী জাহাজের ভাড়াও বেড়েছে। পাটজাত মোড়কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক আইনের আওতায় জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃহত্তর খুলনায় ২৭ টি মোবাইল কোট পরিচালনা হয়।

সূত্র বলেছেন, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ৩০ কোটি ২৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকা মূল্যের ১৭ হাজার ৪৯৫ বেল পাট রপ্তানি হয়। রপ্তানিকৃত দেশগুলো হচ্ছে বেলজিয়াম,আইভেরি,কোস্ট ও সালভাদর। ২০২০-২১ অর্থবছরের ৯৮কোটি ৪৯ লাখ ৩১ হাজার টাকা মূল্যের ৮১হাজার ২৫৬ বেল ও ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা মূল্যের ৬ হাজার ৯৫৯ বেল কাঁচা পাট রপ্তানি হয়।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন