পবিত্র কুরআনে বর্ণিত এই সর্বোত্তম অভিবাদন রীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল, সালামের দ্বারা যেহেতু একে অপরের জন্য শান্তি ও নিরাপত্তার দোয়া করা হয় সেহেতু তা উভয়ের মাঝে এক অন্যরকম ভালোবাসা ও বন্ধুত্বের সৃষ্টি করে। এমন কি যদি সে আপনার শত্রুও হয়। দীর্ঘ দিনের মনোমালিন্যতা নিমিষেই মিটিয়ে দিতে পারে সালামের এই পবিত্র শব্দমালা। গুরুত্বপূর্ণ এই লাইফ হ্যাকসটি পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ মুমিনদের বৈশিষ্ট্য বলে উল্লেখ করেছেন।
“মুমিনগনের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল যখন মূর্খ লোকেরা তার সাথে অযাচিত আচরণ করে তখন সে তাকে বলে “আস্ সালামু আলাইকুম” অর্থাৎ প্রিয় ভাই! যদিও আপনি আমার সাথে অসঙ্গত আচরণ করেছেন তথাপি আমি মূর্খতার জবাব শত্রুতা দিয়ে না দিয়ে আপনার জন্য শান্তি ও নিরাপত্তার দোয়া করছি।
আরো শুনুন প্রিয় নবীজি সা. কি বলেছেন। তিনি বলেন, তোমরা ততক্ষণ জান্নাতে যেতে পারবে না যতক্ষণ না মুমিন হবে। আর ততক্ষণ মুমিন হতে পারবে না যতক্ষণ না একে অপরকে ভালোবাসবে।
এতোটুুকু বলে নবীজি একটু থামলেন। নিজ থেকেই উপস্থিত সাহবীদের প্রশ্ন করলেন। আমি তোমাদের এমন একটি কাজ শিখিয়ে দেব কি, যার মাধ্যমে তোমারা একে অপরের ভালোবাসার পাত্র হতে পার?
সাহাবীগণ তো এমন একটি কথারই অপেক্ষায় ছিলেন। এবার সকলের জুগলজোড়া নবীজির মুখের দিকে একেবারে নিবিষ্ট হয়ে রইল। নবীজি সা. বললেন, তোমরা সালামের ব্যপক প্রচলন কর। অর্থাৎ বেশী বেশী সালাম দাও। এর দ্বারা আপোষে ভালোবাসা সৃষ্টি হয়। (মুসলিম-৫৪)।
(লেখক : শিক্ষক, ইমদাদুল উলুম রশিদিয়া, ফুলবাড়িগেট, খুলনা)
খুলনা গেজেট/এমএইচবি