১.
হারিয়ে যাওয়া স্মৃতিগুলো, জীবনে আবার কখনো পুরো ফিরে আসবে না
বর্ষার ঢলে পাকা ধান-ক্ষেতের ডুবন্ত ফসল, কভু গোলা ঘরে তোলা যায় না
মুষলধারে বৃষ্টি হলে পাহাড়ি ঝর্ণার প্রবল স্রোত, মিশে কর্ণফুলী, সাগর মোহনা
অমানিশা ঘোর অন্ধকারে, আকাশের মিটি মিটি তারাগুলো কভু খালি চোখে দেখা যায় না
মগরা নদীর জল, কিছু শুকিয়ে না গেলে, দাঁড়টানা নৌকোর মাঝি নদীতীর হেটে গুন টানে না
রাঙামাটির পাহাড়ি ঢালে ঝুম চাষে, চাকমা রমণীর কায়িক শ্রমে কখনো ক্লান্তি আসে না
শীতের হাওয়া না এলে, প্রবাসী পাখিরা ঝাঁকে ঝাঁকে দূর দূরান্তর হতে –
হাকালুকির হাওরে – বিলে, খাবার খোঁজে আসে না। শীতের আমেজ
ছাড়া, আকাশে উড়ন্ত প্রবাসী পাখির কিচির মিচির আওয়াজ শুনা যায় না
বসন্ত ঋতুয় ঝরে আম্র মুকুল, শিমুল বাগানে ফোটে লাল লাল ফুল, রক্ত লাল শিমুল,
চৈত্র তাপদাহে, পুকুরে, রক্তপদ্ম তো ফোটে না।
২.
কেল্লাতাজপুর যুদ্ধের মাঠে তালাকনামা পাঠে; বঙ্গ বীরাঙ্গনা সখিনার মতো কেহ
বিরহ ব্যথায় কাতর হয় না, দু’চোখ গড়িয়ে অশ্রুজলে ভিজে না
-যোদ্ধা-রমণীর দুলাল ঘোড়া ঢলে পড়ে, আর তো দ্রুত ছুটে না
সাগরে জোয়ার ভাটা না এলে, ঝিনুক, পাথর, নুড়ি, প্রবালগুলো সৈকত-তীরে ভাসে না
সুন্দরবন করমজল অরণ্যে হরিণী দু’চোখের চাহনিতে, খাবার খুঁজিতে প্রাণ উন্মাদনা
প্রকৃতির মনোরম সৌন্দর্য্যে কেওড়াফুলে গন্ধমাখা, মংলা-সুন্দরবন
শ্বাসমূল গজা কর্দমে, সবুজাভ আঙিনা।
স্মৃতি রোমন্থনে, হৃদয়ের যত সুখ পুন্য ফসলে, জ্ঞানের রাজ্যে প্রায় অনেক কিছু
মানবের অজানা।
মহান স্রষ্টার সৃষ্টির সব কিছু মায়াময়, প্রকৃতি চৈতন্যে প্রেমময়, অন্তরের আধ্যাত্ম রসনা।
বিশ্বজগতের অনেক রহস্য মানুষের অজানা। জীবন-স্মৃতি ধন্য সুখের
সংলাপ,অপরূপ ব্যঞ্জনা, নির্ঝর স্বপ্নের পংক্তিমালা।
খুলনা গেজেট/এনএম