Edit Content
খুলনা বাংলাদেশ
বুধবার । ২৩শে জুলাই, ২০২৫ । ৮ই শ্রাবণ, ১৪৩২

ই-পেপার

Edit Content

রমজানের শেষ হোক সদকাতুল ফিতর দিয়ে

মুফতি জহিরুল হক

সদকাতুল ফিতর কি ও কেন?

সদকা অর্থ দান, ফিতর অর্থ রোজা শেষে পানাহারের অনুমতি লাভ। সদকাতুল ফিতর বলা হয় ঐ নির্ধারিত দান কে যা রোজা শেষে ঈদুুল ফিতরের দিন সকাল বেলা শুকরিয়া ও আনন্দস্বরুপ আদায় করা ওয়াজিব হয়। যার দ্বারা রোজার ত্রুটি বিচ্যুতি মাফ হয়,এবং গরীব মানুষ ঈদের আনন্দে শামিল হওয়ার সুযোগ পায়।

হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন রাসূল সাঃ রোজা পালনকারীর জন্য সদকাতুল ফিতর আদায় ওয়াজিব করেছেন যা রোজাদারের অনর্থক,অশ্লীল কথা ও কাজ পরিশুদ্ধকারী এবং অভাবী মানুষের আহারের ব্যবস্থা। (আবু দাউদ:১৬০৯)

সদকাতুল ফিতর কাহার উপর,কখন ওয়াজিব হয়?

ঈদুল ফিতরের দিন সুবহে সাদেকের সময় যার মালিকানায় নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ও ঋণ ছাড়া সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ বা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপা কিংবা এর সমমূল্য কোন সম্পদ বা টাকা থাকে,তার উপর সদকাতুল ফিতর ওয়াজিব হয়।

বর্তমানে সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপার মূল্য প্রায় ৫০ হাজার টাকা প্রায়। সুতরাং যার কাছে মৌলিক প্রয়োজনীরিক্ত ৫০ হাজার টাকা বা সমমূল্যের সম্পদ আছে তার উপর সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব।

যাকাতের জন্য সম্পদের বছর পূর্ণ হওয়া শর্ত থাকলেও ফিতরার জন্য তা শর্ত নয়। নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক নিজের এবং সন্তানদের পক্ষ থেকে সদকাতুল ফিতর আদায় করবে।

সদকাতুল ফিতরের পরিমাণ :

হাদীসে মোট ৫ প্রকার খাবারের নির্দিষ্ট পরিমাণের মাধ্যমে সদকাতুল ফিতর আদায়ের কথা বলা হয়েছে যথা গম/আটা,যব,কিশমিশ,খেজুর ও পনির। বর্তমান বাজার দর হিসাবে ১টি সদকাতুল ফিতরের সর্বনিন্ম পরিমাণ ৭০ টাকা, এবং সর্বোচ্চ ২৫০০ টাকা।

আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষকে সদকাতুল ফিতরের সর্বনিন্ম পরিমাণ আদায় করতে দেখা যায়, অথচ তা কাম্য নয় বরং উচিৎ হল প্রত্যেকে তার সামর্থ অনুযায়ী বেশী পরিমাণ সদকাতুল ফিতর আদায়ের চেষ্টা করবে।

নবী করীম সাঃ কে সর্বোত্তম দান সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, দাতার নিকট যা সর্বোৎকৃষ্ট এবং যার মূল্যমান সবচেয়ে বেশি। (বুখারী-২৫১৮)

(লেখক : শিক্ষক, হামিউস্ সুন্নাহ মক্কিনগর মাদরাসা, খুলনা)

খুলনা গেজেট/ এস আই




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন