জাকাত ইসলামী শরীয়ারহর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান। ইসলামের মৌলিক স্তম্ভগুলির অন্যতম একটি। শাব্দিক অর্থে জাকাত বলা হয় যার মাধ্যমে কোন বস্তুকে পৌত পবিত্র করা হয়। পবিত্র কুরআনে অন্তরের পবিত্রতা সংক্রান্ত আলোচনায় এই শব্দটির ব্যবহার হয়েছে। মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, “ক্বাদ আফলাহা মান জাক্কাহা” অর্থাৎ যে ব্যক্তি নিজের আত্মাকে পবিত্র করল সে সফল হয়ে গেল। (সুরা সামস্- ৮) এখানে “জাক্কাহা” সব্দটির মুল উৎস “জাকাত”।
অনুরুপভাবে ধনীদের উপর যে আর্থিক জাকাত ফরজ হয় সেক্ষেত্রেও এই অর্থের প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে। অর্থৎ জাকাত ধনীলোকের সম্পদকে পবিত্র করে। সম্পদের উপর আপাতত মুসিবত থেকে তা রক্ষা করে। এছাড়া তার ব্যক্তিগত নানাবিধ অনাহুত বিষয় যেমন অসুস্থতা, পারিবারিক অসান্তি ইত্যাদী নিরসনে সম্পদের জাকাতের বিশেষ প্রভাব রয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন, হে ইমানদারগন তোমরা আল্লাহর রাস্তায় খরচ কর এবং নিজেদেরকে ধ্বংশের মুখে ঠেলে দিও না। এছাড়া রসুলুল্লাহ সা. বলেন, নিশ্চয় দান আল্লাহর রাগ বা গোস্মা ঠান্ডা করে দেয়ে এবং মানুষকে অপমৃত্যু থেকে হেফাজত করে।
আত্মার জাকাত এবং অর্থের জাকাতের সংক্ষিপ্ত বিবরণের পর এবার জানবো দেহের জাকাত কি? হ্যা, দেহেরও জাকাত আছে। যা দ্বারা দেহ পবিত্র হয়। পবিত্র হয় দেহের খুন। যা মুমিনের দেহ ও মনজগতে এক আত্মাধিক প্রসান্তির বসন্ত হয়ে আসে। আর এই মহাপ্রাপ্তির মুল মাধ্যম হলো রোজা। রসুলুল্লাহ সা. বলেন, প্রতিটি বস্তুর জাকাত আছে আর দেহের জাকাত হলো রোজ। (ইবনে মাজাহ-১৭৪৫)
(লেখক : শিক্ষক, ইমদাদুল উলুম রশিদিয়া মাদরাসা, ফুলবাড়ী গেট, খুলনা )
খুলনা গেজেট/এমএম