মন খারাপ, মুড অফ, ডিপ্রশনে এখন অনেকেরই ওষ্ঠাগত প্রাণ। আসলে এই ধরনের অস্বস্তি আমাদের কাজের তো ক্ষতি করেই, পাশাপাশি আমাদের পারিপার্শ্বিককে আরও জটিলও করে তোলে। অথচ এই ইঁদুর দৌড়ের যুগে ডিপ্রেশন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে উঠছে। তাই করোনা পরিস্থিতিতে কিছু দিক খেয়াল করলে মন ভাল হয়ে যাবে কয়েক মিনিটেই।
একই মানুষ, একই কাজের মধ্যে থাকতে থাকতে একঘেয়েমি আসতে পারে অনেক ক্ষেত্রে। তাই নতুন বন্ধু বানান, নতুন মানুষের সঙ্গে কথা বলুন। ফেসবুকে গিয়ে কথা বলতে পারেন অচেনা কারও সঙ্গে। মন খুলে আড্ডা দিন। দেখবেন মন খারাপ উধাও হয়েছে নিমেষেই। তবে খেয়াল রাখবেন, সেই অচেনা ব্যক্তির সঙ্গে আপনার মেলামেশা যেন আপনার ক্ষতি না করে।
ক্যাফিন আমাদের মুডকে বেশ অনেকটাই নিয়ন্ত্রন করতে সাহায্য় করে। নার্ভাস সিস্টেমে ইতিবাচক শক্তি জোগায় কফি। কাজেই মন খারাপে কফি বেশ উপকার করবে। শুধু তাই নয়, দুশ্চিন্তা নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে কফি।
পছন্দের গান শুনুন। মন খারাপে আমাদের মধ্যে এই কাজটি অনেকেই করে থাকেন। কাজেই মন খারাপের সময় আপনার প্লে লিস্টটা ঘুরে আসুন কাজের ফাঁকে। মন ভাল করার অন্যতম দাওয়াই এটাই।
খানিকটা সময় নিয়ে হেঁটে আসুন এদিক ওদিক। বাড়িতে একা একা বসে থাকলে বা অফিসে একটানা অনেক্ষণ কাজ করলে মুড খারাপ হতে পারে যেকোনও কারণেই। তাই বাইরের পরিবেশে নিয়ে যান নিজেকে। এই সময়টা একটু বিরতি নিন।
এমন কাউকে ফোন করে কথা বলুন যাঁর সঙ্গে কথা বললে আপনার মন ভাল হয়ে যায়। আসলে অনেকক্ষণ এক জায়গায় মন নিবেশ করলে, বা একা একা থাকলে মুড খারাপ হতেই পারে। তাই কাউকে ফোন করে নিজের সমস্যাগুলো বলুন। হালকা হতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে আপনার মন খারাপের মুশকিল আসান কিন্তু ফোনের ওপারেই।
থ্রিলার বা অ্যাকশন ওয়েব সিরিজ দেখুন। তবে রোজ সকালে যোগাসন ও ব্য়ায়াম আপনার মুডকে প্রাণচ্ছল রাখতে সাহায্য করবে। নিজের মনকে মজা করতে দিনে এক ঘণ্টাই যথেষ্ট। তখন মন নিজে যা চাইবে তাই করে। দেখবেন প্রভাবশালী মস্তিস্ককে তরাণ্বিত করবে মন।
খুলনা গেজেট / এমএম