‘ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় উপকুলীয় এলাকায় সরকার পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ করছে। এ অঞ্চলে স্কুল কাম সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণের ফলে আশ্রয় কেন্দ্রগুলির বহুমূখী ব্যবহার সম্ভব হবে। ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাস-বন্যার সাথে সহাবস্থানের মাধ্যমে তা আমাদের মোকাবেলা করতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ এবং সরকারের দুর্যোগ মোকাবেলার জ্ঞান, দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে।’
মঙ্গলবার সকালে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের আয়োজনে মোংলার বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের শেলাবুনিয়া জি এম এস মাধ্যমিক বিদ্যালয় বহুমূখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক এ কথা বলেন।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠিত ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বুড়িরডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান নিখিল চন্দ্র রায়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইকবাল বাহার চৌধুরী ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস এ আনোয়ার উল কুদ্দুস। এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ নাহিদুজ্জামান।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক আরো বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আমাদের দেশে ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাস-বন্যা সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য উন্নত বিশ্ব দায়ী হলেও তারা যথাযথ ভাবে আমাদের ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে না। ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাসে সুন্দরবন নিজেকে উজাড় করে দিয়ে মায়ের মতো উপকূলবাসীকে সব সময়ই রক্ষা করে থাকে। তাই সুন্দরবন রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’
উল্লেখ্য, ২ কোটি ২৮ লাখ ৮৯ হাজার টাকা ব্যয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় জি এম এস মাধ্যমিক বিদ্যালয় বহুমূখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করে। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের উপকুলীয় ও ঘূর্ণিঝড় প্রবণ এলাকায় বহুমূখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ (২য় পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় জি এম এস মাধ্যমিক বিদ্যালয় বহুমূখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র’র নির্মাণ কাজ শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে এর উদ্বোধন করেন খুৃলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। প্রধান অতিথি সিটি মেয়র ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ কাজের গুণগত মান বজায় রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
খুলনা গেজেট/এনএম