কোন একদিন একটি ছাগল খেতে জঙ্গলে চলে গেল। খেয়ে খেয়ে পেট ভরল কিন্তু বাড়ি ফেরার রাস্তা খুঁজে পেল না। সারাদিন জঙ্গলে ঘুরতে ঘুরতে এক সময় সন্ধ্যা হয়ে এলো। এখন ছাগল যায় কোথায়। অন্ধকারে হাঁটতে হাঁটতে এক গর্তের মধ্যে পড়ে গেল। উঠার চেষ্টা না করে সেখানেই শুয়ে পড়ল। গরু ও ছাগলের একটা অভ্যাস আছে জাবর কাটা। তারা খাবার সময় সব খাবার গিলে ফেলে তারপর রাতে শুয়ে শুয়ে ভিতর থেকে এনে আবার চাবায়। ছাগল জাবর কাটে আর দাড়ি নড়ে।
এখানে চিতা বাঘ থাকে। সে ফিরে এসে ছাগলকে দেখে বললো,
: গুটি গুটি দাড়ি নাড়ে আমার বাসায় কে?
ছাগল বুঝতে পারল এখানে চিতা বাঘ থাকে। সাহস করে বললো,
: সিংহ মামা উম্বল দাস
বাঘ মারছি গোন্ডা দশ
একটা চিতা বাঘের জন্য
ছয়মাস বনো পরবাস
একথা শুনে চিতা বাঘ ভয় পেয়ে গেল। সে ভাবল এ আবার কেমন প্রাণী সিংহ তার দাস ৪০ টি বাঘ মেরেছে। ৬ মাস ধরে ঘুরছে। সে মনে মনে ভাবল আজ আমাকে পেলে তো খেয়ে ফেলবে। চিতা বাঘ ভয়ে পালাতে লাগল। এমন সময় একটি শিয়াল এই দৃশ্য দেখে অবাক হল। তাকে বললো,
: ও চিতা বাঘ ভাই এমন করে দৌড়াও কেন?
: আর কইনা এক আজব প্রাণী। আমারেও খাওয়ার জন্য আমার বাসায় বসে আছে।
: বল কি? কি এমন আজব প্রাণী চলতো। আমাকে তুমি দেখাবে।
: মাথা খারাপ! আমি যাব ঐ আজব প্রাণীর কাছে। এতো তাড়াতাড়ি মরতে চাই না।
: দূর থেকে দেখাবে আমাকে।
: না না আমি যাব না। গেলে তুমি যাও।
: তুমি আমাকে তোমার লেজের সাথে আমার লেজ দিয়ে বেঁধে নিয়ে চল।
চিতা বাঘ রাজি হয়ে গেল। যেই কাছে গেল ছাগল বললো,
: বলছিলাম ধরে আনতে আনছো লেজে লেজে বানধে।
একথা শুনে চিতা বাঘ আবারো দৌড় মারল। শিয়াল গেল পড়ে। চিতা বাঘ তাকে তুলার চেষ্টা না করে দৌড়াতে থাকলো। এক সময় শিয়ালের মাংস খোশে গেল। অনেক দূরে গিয়ে চিতা বাঘ দেখল শিয়ালের লেজ ছাড়া কিছুই নেই। এক সময় রাত পোহাল। ছাগল জঙ্গল ছেড়ে চলে এলো।
খুলনা গেজেট/কেএম