জীবন আর শিক্ষা এক সাথে চলতে পারেনা। যেখানে জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে সংশয়, সেখানে শিক্ষা দিয়ে কি হবে? শিক্ষার জন্য প্রয়োজন নিরাপদ পরিবেশ। একটি সুন্দর মনোরম পরিবেশ দিতে পারে, একটি সুন্দর শিক্ষা ব্যবস্থা। শিক্ষাকে বলা হয় পরিবর্তনের হাতিয়ার। আর এই হাতিয়ার তৈরি করে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বলা হয় একটি জাতির বিবেক। আর এই বিবেকের প্রাণকেন্দ্র হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। কিন্তু এই শিক্ষার্থীরা আজ কতটুকু নিরাপদ। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যে সকল শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করে তাদের অধিকাংশই ক্যাম্পাসের বাইরে থাকে। কারণ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের আবাসনের তুলনায় শিক্ষার্থী বেশি ভর্তি করা হয়। এই জন্য তাদের ইচ্ছায় -অনিচ্ছায় ক্যাম্পাসের বাইরে থাকতে হয়। যার ফলে, আমরা বিভিন্ন সময় দেখতে পাই, বাড়িয়ালা কর্তৃক শিক্ষার্থীদের হেনস্তার ঘটনা, এলাকার অসাধু মানুষের দ্বারা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা।
গতকাল বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্র আমাদেরকে ভাবিয়ে তুলেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আজ কতটুকু নিরাপদ? কিছু দিন আগে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন ঘটনা ঘটেছে। শুধু বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা গণ বিশ্ববিদ্যালয় নয় ঢাকাসহ প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন ঘটনা অহরহ। বিশেষ করে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের স্থানীয় কিংবা প্রভাবশালী কর্তৃক হামলার শিকার হওয়া নতুন কোনো ঘটনা নয়।
ব্যাঙের ছাতার মতো বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হচ্ছে আমাদের দেশে। যেখানে থাকছে না শিক্ষার্থীদের গবেষণা, থাকছে না ল্যাব, থাকছে না আবাসিক সুবিধাসহ সকল সুযোগ-সুবিধা। এমন অন্তঃসারশূন্য বিশ্ববিদ্যালয় দিয়ে কি হবে! এতে করে শিক্ষিত বেকার বাড়বে, বাড়বে সমাজের বোঝা। সুতরাং সংখ্যা দিয়ে বিবেচনা না করে গুনগত শিক্ষায় জোর দিতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শিক্ষা, গবেষণা, আবাসিক সুযোগসহ সকল সুযোগ সুবিধা পরিপূর্ণ করতে হবে। উপহার দিতে হবে একটি সুন্দর মনোরম পরিবেশের। তাহলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হবে বিশ্ব মানের। বিশ্বের দরবারে তারা বাংলাদেশকে তুলে ধরতে সক্ষম হবে।
লেখক : আইন ২য় বর্ষ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
খুলনা গেজেট/কেএম