দিনে দিনে যশোরে করোনা পরিস্থিতি ভয়ানক হয়ে উঠছে। লাফিয়ে লাফিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। সর্বশেষ ২৬ দিনে এক হাজার ৬৩ জনের করোনা পজেটিভ হয়েছে। এই সময় মারা গেছেন ১৩ জন।
রোববার যশোরে ৬৪ জনের করোনা পজেটিভ হয়েছে। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৩৩টি নমুনা পরীক্ষা করে এই ৬৪ জনের পজেটিভ আসে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পরীক্ষণ দলের সদস্য ও অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তানভীর ইসলাম।
এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেও সন্ধ্যার পর শহরের ফুটপথে ফুচকা, চটপটির দোকানে ভিড় লেগেই থাকছে। স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই অনেকে বিনা প্রয়োজনে বাইরে ঘোরাঘুরি করছেন।
যশোর সিভিল সর্জান অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ১২ এপ্রিল যশোরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। ১৭ মে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১০০ জনে। দুইশ’ পার হয় ১৩ জুন। প্রথম করোনা রোগী মারা যায় ৭ জুন। ৩১ জুন যশোরে মোট করোনা রোগী দাঁড়ায় ৬০০ জনে। এই সময় আক্রান্তদের মধ্যে মারা যান ১৩ জন। আর সুস্থ হন ১৯২ জন। সর্বশেষ ২৬ জুলাই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৬৬৩ জনে। মারা গেছেন ২৩ জন। অর্থাৎ সর্বশেষ চলতি মাসের ২৬ দিনে যশোরে করোনা রোগী বেড়েছে এক হাজার ৬৩ জন। আর মারা গেছেন ১৩ জন।
যশোর সিভিল সার্জন অফিসের করোনাকালীন মুখপাত্র মেডিকেল অফিসের রেহেনেওয়াজ বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিভাগের কাজ মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা। আমরা আমাদের সাধ্য অনুযায়ী সেই কাজ করছি। এছাড়া সচেতনতা বাড়াতেও আমরা কাজ করছি। কিন্তু মানুষ সব জেনেও স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। এ জন্য রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে।’
তিনি বলেন, ‘জোর করে তো আর মানুষকে আইন মানানো যায় না। এতো প্রচারণার পরেও মানুষ সঠিকভাবে মাস্ক পরছে না। ফুচকার দোকানে ভিড় করছে। বিনা প্রয়োজনে রাস্তায় ঘুরছে। তবুও আমরা চেষ্টা করে যাবো।’