গত ২৪ ঘন্টায় সাতক্ষীরায় নতুন করে সাংবাদিক ও ব্যবসায়ীসহ ২৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় ২২ জুলাই পর্যন্ত মোট ৫৬৮ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
বুধবার যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাব এবং খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাব থেকে পাওয়া নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে ২৯ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরার স্বাস্থ্য বিভাগ। এর মধ্যে যবিপ্রবি ল্যাব থেকে ১২ জন ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাব থেকে ১৭ জনের রির্পোট এসেছে।
নতুন করে করোনা আক্রান্তরা হলেন, সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত দৈনিক সাতনদী পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক সুলতানপুর এলাকার হাবিবুর রহমানহাবিব (৫৪), আশাশুনি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও সাংবাদিক শহরের কুখরালী ফুলতলা এলাকার অসিম বরণ চক্রবর্তী (৫৪), তার স্ত্রী ছফুরুন নেছা মহিলা কলেজের শিক্ষিকা পম্পাবতী মূখার্জি (৪৭), দৈনিক ভোরের কাগজের জেলা প্রতিনিধি রাধানগর এলাকার এড. দিলিপ কুমার দেব (৫৪), একই এলাকার আকিব (১২), রাবেয়া পারভীন (৫২), এসএম খলিলুর রহমান (৫৫), লাকি খাতুন (৩৮), পুরাতন সাতক্ষীরা এলাকার গোলাম ইসহাক (৯০), মাসুদা খাতুনস (২৮), পুরাতন সাতক্ষীরা ঘোষপাড়া এলাকার ব্যবসায়ী সুভাষ ঘোষ (৫৭), মুন্সিপাড়া এলাকার ইব্রাহিম (৫০), কামালানগর এলাকার লিলি (৫২), তপসিনুল ইসলাম (৩৪), উত্তর কাটিয়া এলাকার হালিমা খাতুন (৪২), মিলবাজার এলাকার র্যাাব-৬ এর জারিপ (৪), সদর উপজেলার রামেরডাঙ্গা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক (৬৫), তালা উপজেলার সুভাসিনি গ্রামের গৌর চন্দ্র (৬৫), সুজনশাহা এলাকার নার্গিস বেগম, কিসমতঘোনা গ্রামের রবিউল ইসলাম, তুতুঁলিয়া গ্রামের শেখ আজিজুল ইসলাম, আলাদিপুর গ্রামের মনোয়ারা খাতুন, তালার শহিদুল ইসলাম, জাহানারা আক্তার, ঝর্ণা আক্তার, কানাইদয়া গ্রামের আব্দুস সোবহান, দেওয়ানীপাড়া গ্রামের রাজু দত্ত, তালার রফিকুল ইসলাম (৫৫) ও কলারোয়া উপজেলা নীরকণ্ঠপুর গ্রামের রাজিব হোসেন (২৬)।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ জয়ন্ত সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বুধবার দুপুরে খুমেক হাসপাতালের পিসিআর ল্যাব থেকে পাওয়া নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে জেলায় ২৯ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। তিনি আরো জানান, স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের বাড়ি লক ডাউনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। তবে অনেকে নিজের মোবাইল নম্বর ও ঠিকানা সঠিক ব্যবহার না করায় আক্রান্তদের বাড়ি চিহিৃত করতে প্রশাসনের লোকজনদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
খুলনা গেজেট/এনএম