Edit Content
খুলনা, বাংলাদেশ
বৃহস্পতিবার । ২১শে আগস্ট, ২০২৫ । ৬ই ভাদ্র, ১৪৩২

ই-পেপার

Edit Content

নির্বাচন করবো কি না সিদ্ধান্ত নেইনি: আসিফ মাহমুদ

গেজেট ডেস্ক

অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমাদের উপর গুরুদায়িত্ব আরোপিত হয়েছে। এদেশের মানুষের জন্য কাজ করব, সেটা রাজনৈতিকভাবেই করব। তবে নির্বাচন করব কিনা বা কোন প্রক্রিয়ায় করব, সে বিষয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্ত নেইনি। সরকারের যে দায়িত্ব আছে, সেগুলো শেষ করার দিকে ফোকাস করছি। বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুরে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ‘মওলানা ভাসানী সেতু’র উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এদেশের মানুষের জন্য কাজ করব, সেটা রাজনৈতিকভাবেই করব। তবে আমরা নির্বাচন করব কিনা বা কোন প্রক্রিয়ায় করব- সে বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেই। আপাতত সরকারের যেসব দায়িত্ব আছে, সেগুলো শেষ করার দিকেই আমাদের ফোকাস।

তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ এবং রাজনীতিকে জনগণের কল্যাণমুখী ধারায় ফিরিয়ে আনা এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

প্রসঙ্গত, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পাঁচপীর বাজার ও কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা সদর সড়কে তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত ১৪৯০ মিটার দীর্ঘ ‘মওলানা ভাসানী সেতু’।

বাংলাদেশ সরকার (জিওবি), সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (এসএফডি) এবং ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ওফিড)-এর আর্থিক সহায়তায় নির্মিত এ সেতুর ব্যয় হয়েছে ৯২৫ কোটি টাকা। দুই লেনবিশিষ্ট এই প্রি-স্ট্রেসড কংক্রিট গার্ডার সেতুর দৈর্ঘ্য ১,৪৯০ মিটার এবং প্রস্থ ৯.৬০ মিটার। এতে মোট স্প্যান রয়েছে ৩১টি।

সেতুটি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা এবং কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার মধ্যে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে। এতে স্বল্প সময় ও খরচে কৃষিজাত ও শিল্প পণ্য পরিবহন সহজ হবে এবং স্থানীয় পর্যায়ে ছোট ও মাঝারি শিল্প কারখানা গড়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সেতু সংলগ্ন উভয় পাড়ে উন্নত রোড নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠার ফলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানে অভূতপূর্ব উন্নয়নের সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি, এটি স্থানীয় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য কর্মসংস্থানের নতুন দ্বারও খুলে দেবে।

নতুন এই পরিবহন করিডোরের মাধ্যমে রাজধানী ঢাকাসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলের সঙ্গে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী স্থলবন্দরের দূরত্ব ৪০ থেকে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত কমে যাবে। এর ফলে জাতীয় অর্থনীতিতেও এই সেতু গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন