ইনিংসের শেষ ওভারে ওভারে ফাহিম আশরাফকে আউট করেন তাসকিন। মিরাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ১০ বলে ৫ রান করেন তিনি। পরের বলে রান আউট হন সালমান মির্জা। তৃতীয় বলে তাসকিন ফিরিয়েছেন আব্বাস আফ্রিদিকে। তাসকিনের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ নেন লিটন। এতে পাকিস্তানের ইনিংস শেষ হয় ১১০ রানে। বাংলাদেশের বিপক্ষে পাকিস্তানের এই সংস্করণে এটিই দলীয় সর্বনিম্ন। আগের সর্বনিম্ন ১২৯/৭, ২০১৬ সালে মিরপুরেই এশিয়া কাপে। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানকে হারাতে বাংলাদেশের লক্ষ্য ১১১ রান।
বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে সফল বোলার তাসকিন আহমেদ। ২২ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ইনিংস শেষ করেছেন তিনি। তবে দুর্দান্ত বোলিংয়ে নতুন রেকর্ড গড়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৪ ওভার বোলিং করে সবচেয়ে কম রান দেওয়া বাংলাদেশি এখন মুস্তাফিজ। ৪ ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে ২ উইকেট শিকার মুস্তাফিজের। এর আগে রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান ও মোস্তাফিজ নিজে ৪ ওভারে ৭ রান দিয়েছিলেন।
খুশদিলকে ফেরালেন মুস্তাফিজ
এবার খুশদিল শাহকে ফেরালেন মুস্তাফিজ। রিশাদকে ক্যাচ দিয়ে পাকিস্তান অলরাউন্ডার ফিরলেন ২৩ বলে ১৭ রান করে। ১৮ ওভারে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১০৯ রান। ক্রিজে দুই ব্যাটসম্যান ফাহিম আশরাফ ও আব্বাস আফ্রিদি।
রান আউটে ফিরলেন ফখর
সাজঘরে ফিরলেন দুইবার জীবন পাওয়া ফখর জামান। মুস্তাফিজের করা বলে রানের জন্য ছোটেন খুশদিল শাহ। এক রান নিয়ে দ্বিতীয় রান নিতেই তাসকিনের থ্রোতে উইকেট ভাঙেন লিটন। ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৩৪ বলে ৪৪ রান করেন ফখার। ১২ ওভারে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৭০ রান। ক্রিজে দুই ব্যাটসম্যান খুশদিল ও আব্বাস আফ্রিদি।
পঞ্চাশের আগেই ৫ উইকেট নেই পাকিস্তানের
টাইগার বোলিংয়ে ধুঁকছে পাকিস্তান। পঞ্চাশের আগেই ৫ উইকেট হারিয়েছে সফরকারীরা। ৮ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ৪৬ রানে ব্যাট করছে পাকিস্তান। ক্রিজে ফখর জামানের সঙ্গে আছেন খুশদিল শাহ।
নতুন বলে শেখ মেহেদীকে দিয়ে ওভার শুরু করান লিটন দাস। প্রথম ওভারেই পেতে পারতেন সাফল্যও। কিন্তু ক্যাচ ছেড়ে দেন তাসকিন আহমেদ। ৪ রানে বেঁচে যান ফাখার। ক্যাচ ছাড়ার ক্ষতিপূরণ তাসকিন দেন পরের ওভারে। বোলিংয়ে এসে তিনি ফিরিয়ে দিলেন সাইম আইয়ুবকে। মুস্তাফিজুর রহমানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৪ বলে ৬ রান করে ফেরেন সাইম।
তৃতীয় ওভারে খরুচে বোলিং করলেও শেষ দিকে মোহাম্মদ হারিসকে ফেরালেন শেখ মেহেদী। ৩ বলে ৪ রান করেন উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান। বোলিংয়ে এসেই বাজিমাত করেন তানজিম সাকিব। তার দুর্দান্ত বোলিংয়ে লিটন দাসের গ্লাভসে তালুবন্দি হয়ে ফেরেন পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আগা। ৩ রান করতে ৯ বল খেলেন আগা।
পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে আরেকটি সাফল্য পায় বাংলাদেশ। বোলিংয়ে এসে পঞ্চম বলে উইকেট নিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। ৪ বল খেলে রানের খাতা খুলতে পারেননি হাসান নাওয়াজ। পাকিস্তান পঞ্চম উইকেট হারিয়েছে ৪৬ রানে। মেহেদী হাসানের বলে ১ রান নিতে চেয়েছিলেন ফখর জামান। স্ট্রাইকিং প্রান্তে মেহেদী বল পাঠালে স্ট্যাম্প ভাঙতে দেরি করেননি লিটন। ৫ বলে ৩ রান করেন তিনি।
এর আগে টসে জিতে পাকিস্তানকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানালেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন কুমার দাস। লিটন বললেন, উইকেট দেখে কিছুটা দ্বিধায় ছিলেন তিনি। তার কাছে ভালো মনে হচ্ছে উইকেট। ম্যাচ জেতার জন্য পাকিস্তানকে ১৪০ রানের মধ্যে আটকে রাখতে চায় তার দল। পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলি আগা বলেছেন, আগে ব্যাটিং বা বোলিং নিয়ে সমস্যা নেই তাদের।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ জয়ী ম্যচের একাদশে একটি পরিবর্তন করল বাংলাদেশ। শরিফুল ইসলামের জায়গায় ফিরলেন অভিজ্ঞ পেসার তাসকিন আহমেদ। সব মিলিয়ে তিন পেসারের সঙ্গে দুই স্পিনিং অলরাউন্ডার শেখ মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন আছেন বাংলাদেশের একাদশে। দলের প্রয়োজনে শামীম হোসেনকেও হাত ঘোরাতে দেখা যেতে পারে।
এই ফরম্যাটে ২২বার মুখোমুখি হয়ে তিন ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের জয় ১৯টিতে। বাংলাদেশের জয়ের তিনটির দুটিই মিরপুরে। তবে বাংলাদেশের জন্য প্রেরণা হতে পারে সবশেষ শ্রীলঙ্কা সফর। প্রথম ম্যাচে হারলেও বাকি দুটিতে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতে বাংলাদেশ। সেই সাফল্যের রেশ থাকতেই এবার পাকিস্তানের সামনে তারা।
বাংলাদেশ একাদশ: লিটন কুমার দাস (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান, পারভেজ হোসেন, তাওহিদ হৃদয়, শামীম হোসেন, জাকের আলি, শেখ মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, তানজিম হাসান।
পাকিস্তান একাদশ: ফখর জামান, সাইম আইয়ুব, মোহাম্মদ হারিস (উইকেটরক্ষক), হাসান নওয়াজ, সালমান আগা (অধিনায়ক), মোহাম্মদ নওয়াজ, খুশদিল শাহ, ফাহিম আশরাফ, আব্বাস আফ্রিদি, সালমান মির্জা, আবরার আহমেদ।
খুলনা গেজেটে/এএজে