কিংবদন্তী অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের জীবনাবসান হল। চল্লিশ দিন লড়াই করে চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে রবিবার বেলভিউ নার্সিংহোমে টলিউডের এই অভিনেতা না ফেরার দেশে চলে গেলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ছিয়াশি। তার মৃত্যুতে বাংলা চলচ্চিত্রের এক বর্ণময় যুগের অবসান হল। তিনি বাংলা চলচ্চিত্রের আভিজাত্যের প্রতীক। উত্তমকুমার ও নায়করাজ রাজ্জাকের মৃত্যুর পর যে নামটি বাঙালির মনে জীবন্ত ছিল তিনি হলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।
তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। শোক প্রকাশ করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও রাষ্ট্রপতি রামকোবিন্দ। গভীর শোক প্রকাশ করেন কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের উপহাইকমিশনার তৌফিক হাসান ও প্রেস সচিব মুফাখখারুল ইকবাল। বাংলাদেশের বিশিষ্ট কবি মোহন রায়হানও তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন। তিনি করোনা আক্রান্ত হয়ে গত সেপ্টেম্বরে বেলভিউ নার্সিংহোমে ভর্তি হন। ক্রমশই তার অবস্থার অবনতি হচ্ছিল।
১৯৫৯ সালে তার প্রথম ছবি কথাসাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ” পথের পাঁচালী ” অবলম্বনে ” অপুর সংসার”। এই ছবির পরিচালক ছিলেন সত্যজিত রায়। তারপর তাকে আর ফিরেও তাকাতে হয়নি। তার মৃত্যুতে বলিউড- টলিউড- ঢলিউডে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় শুধু একজন অভিনেতা ছিলেন না। একজন ভালো কবি ও আবৃত্তিকার। নানা গুনে গুনান্বিত ছিলেন তিনি। সন্ধায় তার শেষ কৃত্য সম্পন্ন হবে।
খুলনা গেজেট/এনএম