খুলনা, বাংলাদেশ | ১৪ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৯ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩৫৪
  আবার আমিরাতে আরও ৭৫ বাংলাদেশিকে ক্ষমা ঘোষণা করল দেশটির সরকার

সামর্থ্য সীমিত হলেও স্বপ্নটা বড়

ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পর সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নতুন উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমি ভাগ্যক্রমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিযুক্ত হয়েছি। ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি পদে যোগদান করেছি। রেজিস্ট্রার মহোদয় যোগদানকালে রেওয়াজ অনুযায়ী কাকে কাকে থাকতে বলবেন জানতে চাইলে বলেছি, আপনি একটি যোগদানপত্র তৈরি করুন। এ রকম একটি যোগদানপত্রে স্বাক্ষর করা উপলক্ষ্যে আপনার কাউকে দাওয়াত দিতে হবে না। ভিসি পদে যোগদানের পর বিশ্ববিদ্যালয়কে মরুভূমির মতো মনে হয়েছে। ক্যাম্পাসে জনমানব ছিল না। আবাসিক হলগুলোতে ছাত্রছাত্রী ছিল না। দেশব্যাপী শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকরা নিরন্তর হতাশার মধ্যে দিনাতিপাত করছিলেন। এমতাবস্থায় ভিসি হিসাবে যোগদান করে আমি তাদের আস্থায় আনতে সর্বপ্রথমে একটি বার্তা প্রচার করি।

ওই বার্তায় লিখি, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনের সফলতার মধ্য দিয়ে ধ্বংসের কার্নিশে উপনীত শিক্ষাঙ্গনে গঠনমূলক সংস্কারের অভূতপূর্ব সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আমি ১৯-০৯-২০২৪ তারিখে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য পদে যোগ দিয়েছি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং অভিভাবকদের শান্ত ও দুশ্চিন্তামুক্ত থাকতে অনুরোধ করছি। কারণ, এ বিশ্ববিদ্যালয় এখন আর অভিভাবকহীন নয়। আমরা যথাসম্ভব কম সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পরিবেশ ও একাডেমিক কার্যক্রম চালু করতে কাজ শুরু করেছি। সবার সহযোগিতা নিয়ে এ প্রতিষ্ঠানকে দুর্নীতি ও সেশনজটমুক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করব ইনশাআল্লাহ।’ এমন বার্তা প্রচার করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে কিছুটা আস্থা ফিরে আসে। আমি কয়েকদিনের মধ্যেই সব শিক্ষকের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করি। এ সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নৈরাজ্যিক পরিবেশ দূর করে এর একাডেমিক ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে শিক্ষকদের সহায়তা চাই।

আমি বুঝতে পারি, বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে হলে আমাকে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের নিয়ে আসতে হবে। কারণ, বিভিন্ন পদ থেকে কর্তৃত্ববাদী শাসনের অবসানের পর প্রায় সবাই পদত্যাগ করেছিলেন। আর এজন্য আমাকে সবার আগে প্রক্টরিয়াল বডি এবং আবাসিক হলগুলোতে লোকবল নিয়োগ দিতে হবে। এ লক্ষ্যে রাত জেগে কাজ করি এবং কয়েকদিনের মধ্যে আমরা এ কাজ করতে সক্ষম হই। নিযুক্ত প্রক্টর এবং প্রভোস্টদের তাদের পছন্দমতো সহকারী প্রক্টর ও হাউজ টিউটর নিয়োগ দিতে বলি। অনেকের পরামর্শ উপেক্ষা করে আমরা জরুরি সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ৬ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেই। স্বীকার্য, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে অনেক ছাত্র-শিক্ষকের মনে ক্ষোভ জমেছিল। এ কারণে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার পর যাতে ‘মব জাস্টিস’ না হয়, সে কথা চিন্তা করে আমরা কয়েকজন শিক্ষককে দিয়ে একটি শান্তি সমন্বয় শৃঙ্খলা কমিটি গঠন করি। প্রচার করি, জুলাই বিপ্লবের সময় কেউ বৈষম্যের বা কোনো নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হলে যেন আইন হাতে না তুলে নেন। কোনো অভিযোগ থাকলে তা যেন তারা শান্তিপূর্ণভাবে এ কমিটির কাছে জমা দেন। এ কৌশল কাজ করে এবং আমরা বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর দু’একটি বিরল ব্যতিক্রম ব্যতীত অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সক্ষম হই। এ ছাড়া অতীতের ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়ম আমলে নিতে আমরা একটি ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করেছি। এ কমিটি ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে।

এরপর আমরা সিরিজ মিটিং করে স্থবির প্রশাসনে গতি আনতে এবং একাডেমিক তৎপরতা জোরদার করতে চেষ্টা করে যাচ্ছি। অনুষদের ডিন নিয়োগ দিয়েছি। ডিন এবং বিভাগীয় সভাপতিদের সঙ্গে সভা করে একাডেমিক তৎপরতা জোরদার করার মাধ্যমে সেশনজট কমাতে তাদের পরামর্শ প্রদান করেছি। উল্লেখ্য, সব শিক্ষক দায়িত্ব পালনে একইভাবে যত্নবান নন। এ জন্য শিক্ষকদের ক্লাসে মনোযোগী করতে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক প্রধান হয়েও অন্য কাউকে দায়িত্ব না দিয়ে নিজে বিভিন্ন বিভাগে ক্লাস হচ্ছে কিনা, তা সরেজমিন দেখতে ‘সাডেন ভিজিট’ কার্যক্রম শুরু করেছি। এতে তুলনামূলকভাবে কম দায়িত্বশীল শিক্ষকরাও ক্লাসে মনোযোগী হচ্ছেন। একাডেমিক কার্যক্রম জোরদার করতে গিয়ে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি।

কলা অনুষদের একটি বিভাগ পরিদর্শনে গিয়ে জানতে পারি, বিভাগটির বয়স ৫ বৎসরাধিক হলেও তাদের সিলেবাস নেই। প্রশ্ন হলো, তাহলে তাদের ক্লাস কার্যক্রম কীভাবে চলেছে? ওই বিভাগে একজন সভাপতি নিয়োগ দিয়ে তাকে দ্রুত সিলেবাস তৈরি করতে পরামর্শ দিয়েছি। এসব নৈরাজ্য দূর করতে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। ডিন এবং সভাপতিদের সঙ্গে মিটিং করে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার পর প্রতিটি বিভাগে একাডেমিক অভিযোগ বাক্স তৈরি করতে বলেছি। প্রটোকল ছাড়া ক্যাম্পাসে ঘোরাঘুরি করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মিশে তাদের মূল সমস্যা চিহ্নিত করতে চেষ্টা করেছি। আমরা ছাত্র হয়রানি দূর করে প্রশাসনে গতিশীলতা আনতে চেষ্টা করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অফিস, পরিবহণ দপ্তর এবং মেডিকেলের কাজে গতিশীলতা ও পেশাদারত্ব আনার লক্ষ্যে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে যাচ্ছি।

সাংবাদিক এবং বৈষম্যবিরোধী নেতাদের সঙ্গে দুই উপ-উপাচার্যসহ মতবিনিময় করেছি। বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা আমাদের কাছে যেসব দাবি উত্থাপন করেন, তার সবই মানা সম্ভব। আমরা তাদেরকে বলি, আপনাদের সব দাবি তো আমাদেরও দাবি। এসব দাবির সঙ্গে আপনারা আরও কিছু দাবি যোগ করতে পারেন। যেমন, আপনারা বলতে পারেন, আমরা ক্যাম্পাসে জলকামান দেখতে চাই না। আমরা চাই আমাদের সব ক্লাস যেন সময়মতো হয়, সব পরীক্ষা যেন সময়মতো হয়। পরীক্ষার ফলাফল দিতে যেন দেরি না হয়, ইত্যাদি। এরপর আমরা টিম হিসাবে কয়েক দশকের জমে থাকা প্রশাসনিক জঞ্জাল পরিষ্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করি। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলি করে স্থানান্তরিত করলেও আমরা তাদের কাজে গতিশীলতা ও পেশাদারত্ব বাড়াতে পারিনি। আগের আমলগুলোতে অন্যায়ভাবে অনেক শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। আমরা সিদ্ধান্ত নেই, অতীতের উপাচার্যদের কোনো অন্যায় কাজের দায় আমরা নেব না। তাদের শূন্যপদে এবং বাজেট না থাকা বা ইউজিসির অনুমোদন নেই এমন পদগুলোর নিয়োগকে আমরা সমর্থন দেব না।

অতীতে শিক্ষক নিয়োগে যেভাবে আর্থিক লেনদেন হয়েছে, সে বিষয়ে আমরা বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করেছি। আমরা নিয়োগনীতি পুনর্গঠন করে শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। আমরা মনে করি, যেখানে প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক হতে কয়েক রকম পরীক্ষা দিতে হয়, বেসরকারি কলেজে শিক্ষক হতে হলে নিবন্ধন পরীক্ষায় পাশসহ লিখিত পরীক্ষা, প্রেজেন্টশন এবং মৌখিক পরীক্ষা দিতে হয়, সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে কেবল একটি মৌখিক পরীক্ষার মধ্য দিয়ে মেধাবী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া সম্ভব নয়। এ জন্য আমরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা ও প্রেজেন্টেশনের ব্যবস্থা করার এবং প্রদত্ত প্রেজেন্টেশনের রেকর্ড সংরক্ষণের কথা ভাবছি। এর সঙ্গে শিক্ষার্থী কর্তৃক শিক্ষকদের পারফরম্যান্স মূল্যায়নের ব্যবস্থা (স্টুডেন্ট ইভাল্যুয়েশন) প্রবর্তন করার ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা আমাদের ভাবনায় রয়েছে। এ ছাড়া কোনো শিক্ষার্থী যাতে ভিকটিমাইজেশনের শিকার না হন, সে জন্য এইচএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার মতো পরীক্ষার্থীদের খাতা চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে যাচ্ছি। কোনো শিক্ষক যাতে পছন্দের বা অপছন্দের শিক্ষার্থীকে টার্গেট করে তার প্রতি আনুকূল্য বা বিরূপ মনোভাব প্রদর্শন করতে না পারেন, সে জন্য সতর্ক ব্যবস্থা গ্রহণের কথা ভাবছি।

শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য আনতে আমরা বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। আমাদের প্রশাসনের বয়স মাত্র ২ মাস হলেও আমরা এর মধ্যে একটি সরকারি ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষাসহ সব রকম ফিস অনলাইনে দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের শহরে গিয়ে বই কেনার কষ্ট লাঘব করার জন্য ইউজিসির অর্থায়নে ক্যাম্পাসের প্রাণকেন্দ্রে টিএসসির আদলে একটি অন-ক্যাম্পাস বুক স্টোর এবং স্যুভেনির শপ মিনি কমপ্লেক্স গড়ে তুলতে যাচ্ছি। আমরা অচিরেই জো বাইকের প্রচলন করব। এ ছাড়া ইলেকট্রনিক গলফ কার্টের ব্যবস্থা থাকবে, যাতে করে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে স্বল্প খরচে চলাচল করতে পারে। আমরা আবাসিক হলগুলোকে দখলদারত্বের সংস্কৃতিমুক্ত করে হলে হলে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পরিবেশ সৃষ্টি করেছি। মাদকমুক্ত ক্যাম্পাস গড়তে আমরা আবাসিক শিক্ষার্থীদের ডোপ টেস্টের আওতায় আনতে যাচ্ছি। এ সঙ্গে নিরাপত্তা কাজে জড়িতদেরকেও এ পরীক্ষার আওতায় আনা হবে।

ক্যাম্পাসের সার্বিক নিরাপত্তা বিধানের জন্য আমরা নানারকম চিন্তাভাবনা শুরু করেছি। এ লক্ষ্যে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলে প্রাথমিক আলাপ করেছি। শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে আবাসিক হলগুলোতে আমাদের ওয়াশিং মেশিন স্থাপন করার পরিকল্পনা রয়েছে। এ ছাড়া গ্রন্থাগার এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় শিক্ষার্থীদের স্বল্পমূল্যে উন্নত হালকা খাবার দেওয়ার লক্ষ্যে আমরা ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন করতে যাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়, এমনকি এলাকার বাইরের হোটেলগুলোতে আমাদের মেসে থাকা অসংখ্য শিক্ষার্থীরা খাবার খান। আমরা প্রক্টরের মাধ্যমে এসব হোটেলও শিক্ষার্থীদের স্বার্থে পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যবস্থা করেছি। আমাদের মাথায় সব সময় ছাত্র ও শিক্ষকদের কল্যাণে কাজ করার চিন্তা সক্রিয় রয়েছে। আমাদের আরও কিছু পরিকল্পনা আমরা আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে কার্যকর করার কথা ভাবছি। এ লক্ষ্যে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনির সঙ্গে লিয়াজোঁ গড়ে তুলতে চেষ্টা চালাচ্ছি। খ্যাতিমান শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দূরত্ব কমিয়ে জয়েন্ট কোলাবরেশনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। বহির্বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে আমাদের এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম হচ্ছে। ইউএনডিপির ফিউচারনেশন প্রোগ্রামের আওতায় আমরা শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থান খুঁজে পাওয়ার এবং এ বিষয়ে পেশাদারত্ব অর্জন করাতে সহায়তা করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। আমাদের প্রশাসন একটি টিম হিসাবে কাজ করছে। সবার সহযোগিতা পাচ্ছি। এমন সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে আমরা কয়েক মাসের মধ্যে চবি ক্যাম্পাসে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হব।

আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে বড় বড় স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি। তবে একইসঙ্গে আমরা আমাদের সীমাবদ্ধতার বিষয়েও সচেতন। আমরা বিশ্বাস করি, আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করলে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানো অসম্ভব নয়। আমরা তো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে রাতারাতি হার্ভার্ড, কেমব্রিজ, অক্সফোর্ড বা এমআইটি বানাতে পারব না। তবে সততার শক্তি নিয়ে স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করতে পারলে আমাদের পক্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্ততপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম সারির একটি অনুকরণীয়, দর্শনীয় ও অনুসরণীয় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করা সম্ভব হবে।

ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার : উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!