Edit Content
খুলনা বাংলাদেশ
বুধবার । ২৩শে জুলাই, ২০২৫ । ৮ই শ্রাবণ, ১৪৩২

ই-পেপার

Edit Content

অতিরিক্ত খরচের কারণে সামর্থের বাইরে হজ, কোন দেশে খরচ কতো

গেজেট ডেস্ক

তিন দফা বাড়িয়ে পহেলা ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছিলো বাংলাদেশ থেকে হজের নিবন্ধনের সময়সীমা। কিন্তু শেষদিনে এসে দেখা যাচ্ছে- নিবন্ধন করেছেন প্রাপ্ত কোটার অর্ধেকের কিছু বেশি। বর্ধিত খরচের কারণে মুসলমানদের বহুল আকাঙ্ক্ষিত এই ‘ফরজ’ অনেকের সামর্থের বাইরে চলে যাচ্ছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

অথচ সরকারি ও বেসরকারি দুই খাতেই গত বছরের তুলনায় প্যাকেজ মূল্য কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছিল।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাওয়ার সর্বনিম্ন প্যাকেজ প্রায় পাঁচ লাখ ৭৯ হাজার টাকা ধার্য করা হয়। আর বেসরকারিভাবে সর্বনিম্ন প্যাকেজ প্রায় পাঁচ লাখ ৯০ হাজার টাকা।

বাংলাদেশ থেকে ২০২৩ সালে সরকারিভাবে হজ প্যাকেজের খরচ ধরা হয়েছিলো ৬ লাখ ৮৩ হাজার টাকা। বেসরকারি প্যাকেজে খরচের সর্বনিম্ন সীমা ৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা স্থির করা হয়।

দেখা যাচ্ছে- দুই ব্যবস্থাপনায়ই প্রায় ৯০ হাজার টাকা করে কমানো হয়েছে ব্যয়।

তবুও শেষ দিনে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ ব্যবস্থাপনা পোর্টালে মোট নিবন্ধিত হজ যাত্রীর সংখ্যা ৭৪ হাজারের কাছাকাছি দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে সরকারি মাধ্যমে চার হাজার ১৬৫ জন আর বেসরকারিভাবে ৭২ হাজার ৭১১ জন নিবন্ধন করেছেন।

তবে হজ অ্যাজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি শাহাদত হোসাইন তসলিম জানান, এবারের যে লক্ষ্যমাত্রা সেখানে পৌঁছানো সম্ভব হবে না। যেকোনো কারণেই হোক এ বছর হজযাত্রীদের আগ্রহ কিছুটা কম।

এ বছর বাংলাদেশীদের জন্য কোটা রাখা হয় এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮টি। যার মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার জন্য বরাদ্দ যথাক্রমে ১০ হাজার ১৯৮ এবং এক লাখ ১৭ হাজার।

হাব সভাপতি তসলিম নিবন্ধন পর্যাপ্ত না হওয়ার জন্য সার্ভার জটিলতাকেও দায়ী করেন। জানান, বুধবার সারাদিন সার্ভার ডাউন ছিল। এ কারণে অনেকেই নিবন্ধন সম্পন্ন করতে পারেননি।

ভারত-পাকিস্তানের তুলনায় খরচ কেমন

গত বছরের ১৬ নভেম্বর পাকিস্তানের হজ পলিসি ঘোষণা করেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী অনিক আহমেদ। আগের বছরের তুলনায় এক লাখ রুপি কমিয়ে ১০ লাখ ৭৫ হাজার রুপি খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

ডলারের বিনিময়মূল্যের হিসাবে বাংলাদেশী মুদ্রায় যা সোয়া চার লাখ টাকার সমপরিমাণ।

ভারতের সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন হজ কমিটি অব ইন্ডিয়া প্রতি বছর হজ পলিসি ঘোষণা করে থাকে।

সংস্থাটির ওয়েবসাইট থেকে জানা যাচ্ছে, এ বছর তারা সর্বনিম্ন যে হজ প্যাকেজ স্থির করেছে, রাজ্য বা স্থানভেদে সেটি তিন থেকে চার লাখ রুপি। বাংলাদেশী মুদ্রায় যা চার থেকে সাড়ে পাঁচ লাখের মধ্যে।

ইন্দোনেশিয়া থেকে একজন মুসলমানকে হজে যেতে হলে খরচ করতে হয়েছে তিন হাজার ৩০০ ডলার বা তিন লাখ ৪৭ হাজার ৩৪৭ টাকা, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৭০ শতাংশ বেশি। বাকিটা সরকারি ‘হজ ফান্ড ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি’ তহবিল থেকে ভর্তুকি দেয়া হয়।

মালয়েশিয়ায় যেসব পরিবারের মাসিক আয় ৯৬ হাজার টাকার কম, সেইসব পরিবারের সদস্যদের জন্য সরকারিভাবে হজের খরচ ধরা হয়েছিলো দুই লাখ ১৮ হাজার ৭৫৪ টাকা। মাসিক আয় এর বেশি হলে দিতে হয় দুই লাখ ৫৮ হাজার ৬০০ টাকা। তবে, প্রাইভেট হজ প্যাকেজগুলো বাংলাদেশী টাকায় নয় লাখ টাকা থেকে শুরু হয়।

সিঙ্গাপুরে হজের সবচেয়ে কমমূল্যের প্যাকেজের জন্য দিতে হয়েছে ছয় লাখ ৬০ হাজার ৯২০ টাকা।

 

 




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন