গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে বৃহস্পতিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলের দিকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বৃষ্টি নামে মুষলধারে। এতে করে একদিকে তীব্র ঠাণ্ডা, অন্যদিকে ইজতেমা ময়দানে কাদা-পানিতে ভোগান্তিতে পড়েছেন দেশবিদেশ থেকে আগত মুসল্লিরা।
শুক্রবার (০২ ফেব্রুয়ারি) বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে জুবায়েরপন্থি তাবলিগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হচ্ছে। শুক্রবার ইজতেমা ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে দেশের বৃহত্তম জুমার নামাজ। রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ইজতেমার প্রথম পর্ব।
এরপর চার দিন বিরতি দিয়ে ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে আবার শুরু হবে মাওলানা সাদপন্থিদের ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। ১১ ফেব্রুয়ারি তাদের আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমার আসর।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃষ্টি শুরু হওয়ায় ইজতেমা ময়দানে মুসল্লিদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দেয়। ময়দানের বাইরে থাকা মুসল্লিরা নিরাপদ স্থানে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সময় বাড়ার সাথে সাথে বৃষ্টির মাত্রা বাড়তে থাকে। সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিটে বৃষ্টির মাত্রা তুলনামূলকভাবে বেড়ে যাওয়ায় মুসল্লিরা দুর্ভোগে পড়েন। সন্ধ্যা ৭টায় বৃষ্টির তীব্রতা বাড়ে।
বৃষ্টির সময় বাদ মাগরিব বয়ান করেন ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা। বৃষ্টির মধ্যে ভিজেই বয়ান শুনেছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। ইজতেমা ময়দানে কর্তব্যরত তিতাস গ্যাস কর্মকর্তা মফিজ মিয়া জানান, বৃষ্টিতে সমস্যা হচ্ছে। তবে আল্লাহ হেফাজত করবেন।
ইজতেমায় আসা মুসল্লি সাদিদ হোসেন বলেন, আমরা বিকেল থেকে রান্নার আয়োজন করছিলাম। মাগরিবের নামাজের পর রান্না চুলায় বসানোর পরিকল্পনা করেছিলাম। কিন্তু বৃষ্টিতে আটকে গেলাম। এখন বৃষ্টি থামা ছাড়া রান্না করা যাবে না।
খুলনা গেজেট/কেডি