সরকার নির্ধারিত দামে আলু বিক্রি করতে নারাজ খুলনার পাইকারী ব্যবসায়ীরা। গত তিন দিন ধরে খুলনার তিনটি পাইকারী বাজারে কার্যত বন্ধ রয়েছে বিকিকিনি। এদিকে রবিবার (১৮ অক্টোবর) বাণিজ্যমন্ত্রীর সাথে কোল্ড স্টোরেজের মালিকদের সাথে বৈঠকের পর সরকারও নির্ধারিত দামে অনড় রয়েছে। অধিকন্তু আগামী তিন দিনের মধ্যে টিসিবির মাধ্যমে খোলা বাজারে ২৫ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তর খুলনার ১২টি আলুর আড়তে ২৫ টাকা পাইকারী দাম নির্ধারণ করে দিলেও গত তিন দিনে সে দামে আলু পাওয়া যায়নি। বেশি দামে ক্রয়ের কারণ দেখিয়ে নির্ধারিত দামে আলু বিক্রিতে নারাজ ব্যবসায়ীরা শুক্রবার ও শনিবার মোবাইল কোর্টের ভয়ে আলু বিক্রি বন্ধ রেখেছে। ফলে খুচরা বাজারের অনেক দোকানেই ইতোমধ্যে আলুর সংকট দেখা দিয়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানায়, নগরীর কদমতলা, দৌলতপুর ও ট্রাক টার্মিনালের পাইকারী বাজারে ৩ হাজার বস্তায় সাড়ে ৪ হাজার মন আলুর মজুদ রয়েছে।
তারা বলেন, তবে গত সপ্তাহে রাজশাহী থেকে যে আলু খুলনার পাইকারী বাজারে ঢুকেছে তার ক্রয় মূল্য ছিলো ট্রাক প্রতি সাড়ে ৪ লাখ টাকা। এ হিসাবে প্রতি কেজি আলুর কেনা ছিলো ৪৫ টাকায়। এখন সরকার নির্ধারিত দামে আলু বিক্রি করতে হলে কেজি প্রতি ২০ টার মত লোকসান করতে হবে যা কোনভাবেই কাম্য নয় বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
কদম তলার মাহবুব বাণিজ্য ভান্ডারের মোঃ মামুন জানান, সরকারের নির্ধারিত দামে আলু বিক্রি করা কোন ভাবেই সম্ভব নয়। কারণ কেনা দামের থেকে ২০ টাকা কেজি কম নেয়া কোনভাবেই সম্ভব নয়।
নিউ মার্কেটের খুচরা ব্যবসাী আব্দুল হালিম বলেন, সরকারের দাম বেধে দেয়ার পর আলু কেনা বেচা কিছুটা কমেছে। পাইকারীরা সরকার নির্ধারিত দামে আলু বিক্রি করতে রাজি হচ্ছে না। ফলে খুচরা বাজারেও আলুর দাম কমছে না।
এদিকে রবিবার বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সীর সাথে কোল্ড স্টোরেজের মালিকদের সাথে এক বৈঠকের পর তিন দিনের মধ্যে খোলাবাজারে ২৫ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার । একই সাথে সরকার নির্ধারিত দামে বাজারে আলু বিক্রি কঠোর ভাবে মনিটরিং করা হবে বলে জানানো হয়।
জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা আব্দুস সালাম তালুকদার খুলনা গেজেটকে বলেন, তারা বাজার তদারকি করছেন, নির্ধারিত দামে আলু বিক্রি না করায় ইতোমধ্যে কয়েকজন ব্যবসায়ীকে জরিমানাও করেছেন। সরকার নির্ধারিত দামে আলু বিক্রি আগামীকাল থেকে আরও কঠোরভাবে মনিটরিং করা হবে বলে তিনি জানান।
খুলনা গেজেট / এমএম