ইউনিয়ন পরিষদের সেবা নিতে আসা মা এবং তাদের শিশুদের কথা বিবেচনা করে ইউনিয়ন পরিষদে স্থাপিত মা ও শিশু কর্নার নিঃসন্দেহে একটি ব্যতিক্রম এবং মহতি উদ্যোগ। খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন পরিষদে ইতিমধ্যে “মা ও শিশু কর্নার” স্থাপিত হয়েছে। এর মাধ্যমে পরিষদগুলোতে সেবা নিতে আসা মায়েরা অনেকগুলো সুবিধা ভোগ করতে পারছেন। ইতিপূর্বে সেবা নিতে আসা এ সকল মায়েরা তাদের জন্য জরুরী এই সেবাগুলো থেকে বঞ্চিত ছিলো।
মা ও শিশু কর্নার’ থেকে মায়েরা নিম্নোক্ত সুবিধাগুলো পাচ্ছেনঃ
১. মা ও শিশু কর্নারে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে সুপেয় পানি পানের ব্যবস্থা। যেখান থেকে নিরাপদ সুপেয় পানি পান করে সেবা গ্রহীতারা সহজে তাদের তৃষ্ণা নিবারণ করতে পারছে।
২. শিশুসহ আগত মায়েদের জন্য আলাদা ব্লেস্ট ফিডিং কর্নারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যেখানে তাদের সন্তানদের নিরাপদ পরিবেশে নির্বিঘ্নে ব্লেস্ট ফিডিং (বুকের দুধ খাওয়াতে) করাতে পারছেন।
৩. মা ও শিশু কর্নারে মা ও শিশুদের জন্য আলাদা ওয়াশরুমের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এর ফলে সেবা গ্রহীতা মা ও শিশুরা স্বতন্ত্র ওয়াশরুম ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে।
৪. মা ও শিশু কর্নারগুলিতে প্রতিদিন দৈনিক পত্রিকা সরবরাহের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এর ফলে সেবা গ্রহীতা মায়েরা সমসাময়িক বিষয়ে ওয়াকিবহাল হতে পারছে। পাশাপাশি তাদের অপেক্ষমান সময়টাকে জ্ঞানচর্চায় কাজে লাগাতে পারছে।
৫. মা ও শিশু কর্নারগুলিতে সেবা গ্রহীতা মা ও শিশুদের জন্য উত্তম পরিবেশে বসার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যেখানে তারা তাদের সন্তানদের কোলে নিয়ে নির্বিঘ্নে বসতে পারছেন।
৬. এছাড়াও মা ও শিশু কর্নারগুলিতে জায়নামাজের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ফলে সেবা নিতে আসা মায়েরা নামাজ আদায়ের সুযোগ পাচ্ছে।
দিঘলিয়া উপজেলার ৬ টি ইউনিয়ন পরিষদে মা ও শিশু কর্নার স্থাপন সম্পর্কে উপজেলা নির্বাহী অফিসার খান মাসুম বিল্লাহ খুলনা গেজেটকে বলেন, জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশনা মোতাবেক উপজেলার ৬ টি ইউনিয়ন পরিষদে “মা ও শিশু কর্ণার” স্থাপন করা হয়েছে। এটি একটি সময়োপযোগী ও অত্যন্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। এ পদক্ষেপের ফলে সেবার মান বেড়েছে। সেবা নিতে আসা মায়েরা সুন্দর এবং সাবলীল একটা পরিবেশসহ উপরোক্ত সেবাগুলো পাচ্ছেন।
খুলনা গেজেট/এইচ