আমার মাতৃভূমি সুজলা সুফলা বাংলাদেশ, সবুজ
বৃক্ষলতা; তৃণছায়া-বনভূমি, সুন্দর প্রকৃতি, অরণ্যশোভা
অপরূপ সৌর্ন্দয ভরা; পুষ্পলি কানন।
মেঘমুক্ত আকাশে, নির্মল বায়ু প্রবাহে উজ্জ্বল
জোৎস্নাতারা ঝলমল।
নতুন আবেশে ঘনবন, সুন্দরবন, মৌচাকে
মৌমাছি গুঞ্জন আবেগভরা মন অনুক্ষণ।
কৃষ্ণচূড়া, কেওড়া, চামেলী, বেলি ফুলের গন্ধভরা
স্নিগ্ধ-পবন। মায়াবী আর্কষণ!
ভাওয়াল-গড়, সুন্দরী, গজারী, শালবন প্রাণশীতল
বায়ু শতো আবেগভরা মায়ার বন্ধন।
স্বাধীন মুক্তমন, স্বাধীন আকাঙ্ক্ষায় হৃদয় উন্মন,
স্মৃতির ফ্রেমে বাঁধা বৈচিত্র্য, নতুন প্রতিচ্ছবি –
পাহাড়, নদ-নদী, ঝর্ণার স্রোতে অর্পূব দৃশ্যে উৎফুল্ল
নয়ন!! স্বদেশের ভালোবাসায় প্রাণাধিক বন্ধন!
গ্রামীণ লোকগাঁথা, মহুয়া বনে কতো বিরহ ব্যথা
নয়নভরা আঁখিজল, পল্লী প্রেমগাঁথা বিলাস চন্দন।
চৈত্রখরা, বসন্তে, হাসিছে প্রকৃতি, নতুন পল্লবে –
ফুলে ফুলে, পাঁপড়িতে সাজিছে বনানী, হৃদয়
সুখে, ভালোবাসা অগণন। পুষ্প সজ্জায় নতুন বর্ষবরণ।
বাংলার সবুজ শস্য ফসলে, ভরিছে
ক্ষেত, কাঁদামাটি জলে ফলেছ সোনা, পাট ধান,
সোনালি আঁশ, নয়ন জুড়া।
বাংলার ‘মসলিন’ ঐতিহ্যে শিল্প সেরা, গৌরবে
আকুল করা।
মাটির শিশির ভেজা ঘাসে, ভোরে –
পায়ে হাঁটা পথে, স্নিগ্ধ অনুভবে – কি যে
জাগরণ, নতুন আবহে, সোনালি
স্বপ্নের ভুবন। বাংলা শব্দে ছন্দে কাব্যে বিচরণ।
ঝড়ো হাওয়ায়, বৃষ্টির ছোয়ায় ঝিরঝির
বাতাসে ঘরে খোলা বাতায়ন। অনেক
আবেগ, উচ্ছ্বাস কেতন-নিত্য সুখ খুঁজে মন।
খুলনা গেজেট/এনএম