ফকিরহাটের খড়রিয়া ভূমি অফিসে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে সেবা কার্যক্রম। জনবল সংকটের কারণে অফিসের দৈনন্দিন কর্মকান্ডে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। ফলে খাজনা-খারিজ করতে আসা মানুষগুলো প্রায় দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার জনবহুল ৩টি ইউনিয়নের মানুষ ভূমি অফিসে সেবা নিতে আসেন। ভূমি অফিসের সামনে এবং অফিসের সেবা কেন্দ্রে বসে অলস সময় কাটাচ্ছেন তারা।
উপজেলার মুলঘর গ্রামের সুসময় মহন্ত অভিযোগ করেন, জমির খাজনা দাখিলা পেতে চার দিন ধরে ঘুরছেন। কিন্তু অফিস সহকারী না থাকায় হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
একই অভিযোগ করেন ফকিরহাট সদর ইউনিয়নের সাতসৈয়া গ্রামের মিলন মোল্লা ও মুলঘর ইউনিয়নের গোলাম ছরোয়ার, নগেন মন্ডল তাদের মত নানা সমস্যায় ভুগছেন উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের মানুষ। প্রতিদিন গড়ে ৫০ থেকে ১০০ জন মানুষ নানা রকম সেবা পেতে এসে ফিরে যাচ্ছেন। দূর্ভোগ পোহাচ্ছে মানুষ।
উপজেলার খড়রিয়া ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, অফিসে ৬ জন জনবল থাকার কথা। তার মধ্যে ২ জন অফিস সহকারী পদ শূণ্য রয়েছে। অপরদিকে একজন অফিস সহকারী গত ১৮ ফেব্রুয়ারি অন্যত্র বদলি হওয়ায় দায়সারা ভাবে কাজ চলছে অফিসের কার্যক্রম। কোন মতে ধীর গতিতে ভূমি সহকারী বাড়তি দায়িত্ব পালন করছেন অফিসের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী। উপজেলা খড়রিয়া ভূমি অফিসের সেবা কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।
আরও জানা যায়, অফিস সহকারী না থাকায় জমির খাজনা-খারিজ, ভিপি, খারিজের ডিসিআর কাটা, রেকর্ড সংরক্ষণ, ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের রিপোর্ট সংক্রান্ত কাজ বিঘ্নিত হচ্ছে।
খড়রিয়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা শেখ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ২ জন সহকারী থাকার কথা থাকলেও ২টি পদ শূন্য রয়েছে। যার জন্য ফিল্ডে গিয়ে যে কোন সমস্যা হলে সমাধান করতে হচ্ছে আবার অফিসে সময় দিতে হচ্ছে। যার জন্য গ্রাহককে সময় মত সঠিকভাবে সেবা দানে বিঘ্ন ঘটছে।’
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তানভীর রহমান এ প্রতিবেদককে বলেন, জনবল সংকটের কারণে যদি জন সাধারণের ভোগান্তি হয় তাহলে অবশ্যই বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হবে এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
খুলনা গেজেট/এনএম