বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার সাজ্জাদ আলী। পিতা মৃত খন্দকার জোয়াদ আলী আর মাত মৃত সালেহা বেগম। জন্মেছেন ১৯৫১ সালের ১২ জুলাই। ইন্তেকাল করেছেন ২০১৯ সালের ৩১ আগস্ট।
জীবদ্দশায় মুক্তিযুদ্ধের কাহিনী বর্ণনা করতে যেয়ে সহকর্মীদের বলেন, খুলনা থেকে পালিয়ে সাতক্ষীরা হয়ে ভারতে যান। সেখানকার ক্যাম্পে পৌঁছালে খুলনার লিডার মো: আবু জাফর, মো: মনিরুজ্জামান মনি (পরবর্তীতে খুলনার মেয়র) ও হাজী মহসীন রোডের জেয়ার্দ্দার রসুল বাবুর সাথে দেখা হয়। টা-ুয়ায় প্রশিক্ষণ শেষে ব্যারাকপুর ক্যান্টনমেন্ট থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে রূপসার আনন্দনগরে লিডার মোল্লা মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে দেবহাটা সীমান্ত দিয়ে পাইকগাছার পাতড়াবুনিয়া বিএলএফ হেডকোয়ার্টারে পৌঁছান।
ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে পাইকগাছার কপিলমুনিতে রাজাকারদের সাথে সম্মুখসমর যুদ্ধ ও ১৪ ডিসেম্বর গল্লামারীস্থ রেডিও সেন্টার দখলের যুদ্ধে অংশ নেন। খুলনার মাটিতে স্বাধীনতার পতাকা ওড়ার পর আযমখান কমার্স কলেজ ক্যাম্পে উপস্থিত হলে বৃহত্তর খুলনা মুজিব বাহিনীর প্রধান শেখ কামরুজ্জামান টুকুর নির্দেশনায় নিউজপ্রিন্ট মিলে ক্যাম্প স্থাপন করে খালিশপুরের আইন-শৃংখলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করেন। যুদ্ধের স্মৃতিচারণ করতে যেয়ে বলেছেন, পাকবাহিনীকে বাঙলার মাটি খেকে হটাতে সকল মুক্তিযোদ্ধারাই মরনপণ যুদ্ধ করেছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের এ অবদান জাতি চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে। (তথ্য সূত্র : মো: আবু জাফর রচিত মুজিববাহিনী খুলনা জেলা ৭১)।