খুলনা, বাংলাদেশ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  হাইব্রিড মডেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, রাজি পাকিস্তান; ভারতের ম্যাচ দুবাইয়ে : বিসিবিআই সূত্র
  গুমের দায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২২ সদস্য চাকরিচ্যুত, গুম কমিশনের সুপারিশে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গায় ২৪ ঘণ্টায় আরও ১০ জনের মৃত্যু

গেজেট ডেস্ক

চুয়াডাঙ্গায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরও ৯ জন। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ১৪৮ জন। এ দিন নতুন করে আরও ১১০ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত হলেন ৫ হাজার ১৬৫ জন।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুলচারা গ্রামের মৃত তসিম আলীর ছেলে শুকুর আলী বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে হাসপাতালের রেডজোনে মারা যান। ৮ জুলাই শুকুর আলী সর্দি কাশি জ্বর নিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে তার নমুনা পরীক্ষা করা হলে করোনা শনাক্ত হয়। তার মরদেহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে দাফনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগ বৃহস্পতিবার ৪৩৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট ল্যাবে পাঠিয়েছে। এ দিন ৪৬৩ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ১১০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলার ৬০ জন, আলমডাঙ্গা উপজেলার ২৫ জন, দামুড়হুদা উপজেলার ১৬ জন ও জীবননগর উপজেলার ৯ জন রয়েছে।

জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৪৮ জন। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গায় মারা গেছেন ১৩২ জন। চুয়াডাঙ্গার বাইরে মারা গেছেন ১৬ জন। বৃহস্পতিবার নতুন ৪৩৮ জনের নমুনা নেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে মোট নমুনা নেওয়া হয়েছে ১৮ হাজার ৯৮১ জনের।

বৃহস্পতিবার ৪৬৩ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এ নিয়ে মোট রিপোর্ট পাওয়া গেছে ১৮ হাজার ৬৫৩ জনের। নতুন ১১০ জন শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১৬৫ জনে।

এদিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ধারণক্ষমতার থেকে বেশি রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, রেডজোন এবং হলুদজোনে ধারণক্ষমতা ১৫০ জনের। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত সেখানে ১৮৯ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ৯৩ জন রেডজোনে ও হলুদজোনে রয়েছেন ৯৬ জন। ২৪ জন চিকিৎসক এবং ৭২ জন নার্স দরকার হলেও সেখানে পাঁচজন চিকিসক এবং ১৭ জন নার্স ডিউটি করছেন। এ ছাড়াও একজন ইনচার্জের দায়িত্ব পালন করেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. এএসএম ফাতেহ আকরাম বলেন, হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়েছে। আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। প্রতিদিন ১৫০০ থেকে ২ হাজার লিটার অক্সিজেন লাগছে। তবে অক্সিজেনের কোনো ঘাটতি নেই।

খুলনা গেজেট/ টি আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!