খুলনা, বাংলাদেশ | ১০ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

৬ মে থেকে সীমিত পরিসরে বাস চলাচলের সুপারিশ

গেজেট ডেস্ক

স্বাস্থ্যবিধি না মানলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোকানপাট ও শপিংমল বন্ধের প্রস্তাব দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। একই সাথে লকডাউনের পর সীমিত পরিসরে গণপরিবহ চালুর পক্ষে মত দেয়া হয়েছে। লকডাউনের পর এমন ১৬ দফা পরামর্শসহ নানা বিধিনিষেধ চেয়ে সুপারিশ করা হয়েছে আন্তঃমন্ত্রণালয়ে বৈঠকে।

কঠোর কিংবা ঢিলেঢালা যে নামেই বলা হোক ৫ এপ্রিল থেকে এখন পর্যন্ত বিধিনিষেধের মধ্যে চলছে দেশ। সময়ের সাথে সাথে খুলে দেয়া হয় দোকানপাট, শপিংমল বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।

যে লক্ষ্যে এ লকডাউন তার সুফলও মিলছে করোনার পরিসংখ্যানে। কমেছে মৃত্যু ও আক্রান্তের হার। এমন বাস্তবতায় ৫ তারিখে শেষ হচ্ছে লকডাউনের সময়সীমা।

সামনে কোন পথে হাঁটবে দেশ তা নির্ধারণ করতে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে, কোভিড ১৯ বিস্তার রোধে সারাদেশে চলমান লকডাউন পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও ভবিষ্যত কর্মপন্থা নির্ধারণ বিষয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। আগামী ২ দিনের মধ্যে শপিংমল দোকানপাট পরিস্থিতি পর্যবেক্ষনের পর স্বাস্থ্যবিধি না মানলে তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করে দেয়ার সুপারিশ জানানো হয় সভায়।

সুপারিশ সমূহ:

> দূরপাল্লার নয়, আন্তঃজেলা পরিবহন সীমিত পরিসরে চলার সুপারিশ করা হয়।
> গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে কর্মহীন পরিবহণ শ্রমিকদের প্রণোদনা নিশ্চিতের বিষয়টিতে।
> মাস্ক পরার বিষয়টি শতভাগ নিশ্চিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জেল জরিমানার সুপারিশও থাকছে।
> গার্মেন্টস সহ সকল কলকারখানার কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করে স্ব স্ব কর্মস্থলে অবস্থান নিশ্চিতের সুপারিশ।
> একই সাথে সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারীদের ঈদের ছুটিতে কর্মস্থলে অবস্থান নিশ্চিত করা।

রাত ১২টা পর্যন্ত শপিংমল খোলা রাখার অনুমতি চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে একটি চিঠি দিয়েছে ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি। সংগঠনটির সভাপতি হেলাল উদ্দিনের সই করা চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের কাছে এই অনুমতি চাওয়া হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, দোকান ও মার্কেট কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপে ৯৫ শতাংশ মানুষ মাস্ক ব্যবহার করে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে শপিং করছেন। ঈদের মাত্র ১০ দিন বাকি। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ক্রেতাদের কেনাকাটার স্বার্থে সকাল ১০টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখার অনুমতি প্রদানের জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

চিঠিতে আরও বলা হয়, অফিসের মানুষ মার্কেটে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত কেনাকাটা করেন। এ সময়ে মার্কেটে ক্রেতাদের প্রচণ্ড ভিড় হয়। বাসায় গিয়ে ইফতার করলে সন্ধ্যা হয়ে যায়। ফলে মার্কেট ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকলেও এক ঘণ্টার জন্য কেউ আসেন না। এতে মার্কেট ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়ে। তাই শেষ বিকেল ও সন্ধ্যায় মানুষের ভিড় কমাতে রাত ৮টার পরিবর্তে রাত ১২টা পর্যন্ত মার্কেট খোলা রাখার অনুরোধ করছি।

 

খুলনা গেজেট/এমএইচবি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!