খুলনা, বাংলাদেশ | ১১ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  ৬ দিনের সফরে আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
আহত প্রায় অর্ধশত

স্থানীয়দের সঙ্গে রাবি শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র, পুলিশ ফাঁড়িতে আগুন

গেজেট ডেস্ক

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের সঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ চলছে। এতে অন্তত ৪০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। শনিবার (১১ মার্চ)সন্ধ্যা ৬টায় বাসের সিটে বসাকে কেন্দ্র করে বাস সুপারভাইজার ও স্থানীয়দের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের এই সংঘর্ষ শুরু হয়। ক্যাম্পাসের বিনোদপুর গেটে ২ ঘণ্টা ধরে এই সংঘর্ষ চলছে। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে বিনোদপুর পুলিশ ফাঁড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। কে বা কারা এই আগুন দিয়েছে তা জানা যায়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত মাথা, হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত নিয়ে অন্তত ২৫ জন শিক্ষার্থী চিকিৎসাধীন। আরো আসতেছে। গুরুতর আহত ১০ জন শিক্ষার্থীকে রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে বিনোদপুর গেটে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে ক্যাম্পাসের ভিতরে ইটপাটকেল ছুড়ছেন কয়েকশত স্থানীয়। তাদের ছোঁড়া ইটে আহত হয়েছেন অনেক শিক্ষার্থী। এরআগে বিনোদপুরে মেসে যাওয়ার পথে স্থানীয়দের আক্রমণের শিকার হন ৭/৮ জন শিক্ষার্থী। এসময় সাংবাদিকের উপরও হামলা করেন তারা।

এর আগে সিটে বসাকে কেন্দ্র করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাস কন্টাক্টর ও স্থানীয়দের মারামারির ঘটনা ঘটে। শনিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেটে ঘটনাটির শুরু হয়।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বগুড়া থেকে মোহাম্মদ বাসে করে রাজশাহী আসছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী আলামিন আকাশ। বাসে সিটে বসাকে কেন্দ্র করে গাড়ির ড্রাইভার শরিফুল ও সুপারভাইজার রিপনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় আকাশের। এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেট এসে আবারো কন্টাক্টরের সঙ্গে ঝামেলা বাধে। তখন স্থানীয় এক দোকানদার এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তর্কে জড়ান। একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে জড়ো হন এবং স্থানীয় দোকানদারদের উপর চড়াও হন।

একপর্যায়ে স্থানীয়রা একজোট হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায়। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও পাল্টা ধাওয়া করেন। ঘটনাস্থলে দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিসহ কয়েকজন সাংবাদিকের উপর স্থানীয়রা হামলা করেছে বলেও জানা গেছে।

এই ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও কাজ করছে।’




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!