খুলনার পাইকগাছায় স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক মামলায় প্রস্তুতকৃত জাল ও ভুয়া কাবিননামায় ইদ্রিস সরদার নামে এক ব্যক্তি জেলে গেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এঘটনায় তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভুক্তভোগীর বাবা।
অভিযোগে বলা হয়, পাইকগাছা উপজেলার মামুদকাটি গ্রামের মোজাম সরদারের ছেলে ইদ্রিস সরদার গত ৩০/৩/২১ তারিখে ডুমুরিয়া উপজেলার আরশনগর গ্রামের রওশন শেখের মেয়ে খাদিজাকে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক ৬০ হাজার টাকা দেনমোহরে বিয়ে করেন। এক পর্যায়ে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য হওয়ায় ইদ্রিস স্ত্রী খাদিজাকে নিজ বাড়ীতে রেখে কাজের জন্য বাইরে যায়। এই সুযোগে খাদিজা বাড়ির কাউকে না জানিয়ে গত ২৩/১০/২১ তারিখে তার বাবার বাড়িতে চলে যায়।
এঘটনায় ইদ্রিসের বাবা মোজাম সরদার ১৮/১০/২১ তারিখে একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। যার নং-৮৮৬।
এরপর স্বামী ইদ্রিস স্ত্রীকে বাড়ি ফিরে আসার জন্য দু’বার লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করলেও খাদিজা বাড়ি ফেরেনি এবং নোটিশের জবাব না দিয়ে উল্টো খুলনা (খ) অঞ্চল চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে ইদ্রিসের নামে যৌতুক আইনে একটি মামলা করেন।
অভিযোগ করা হয়, মামলায় খাদিজা আদালতে তাদের বিয়ের একটি জাল কাবিননামা দাখিল করেছেন। যাতে দেনমোহর ৬০ টাকার স্থলে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেখানো হয়েছে।
এব্যাপারে ভুক্তভোগী ইদ্রিসের বাবা মোজাম সরদার ঘটনার তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।